নিখোঁজের ৬মাস পর সিলেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে নয় বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিশুকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করার অপরাধে নারী সহ ৩ জনকে করা হয় আটক। শুক্রবার (৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় হোটেল গুলবাহার থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম (৩৮), নগরীর শাহজালাল উপ-শহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র ওয়াজিদ আলী (৩০) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (২৬)।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেট গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় এক মেয়ে শিশু। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত কওে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুর বাবা। শিশুটি একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার লাকসাম গ্রামের হালিমা বেগম নামের এক মক্ষিরানীর খপ্পড়ে পড়ে। হালিমা তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ই গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র জসিম উদ্দিনের হাতে দেন তুলে। তিনি শিশুকে গুলবাহার হোটেলের ৫ম তলার ৫০৫ নাম্বার কক্ষে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই শিশুটিকে। গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) কৌশলে শিশুটি মোবাইলে তার বাবাকে বিষয়টি জানালে পুলিশকে খবর দেন তিনি। পরে শুক্রবার দুপরে ওই শিশুকে উদ্ধার করে আটক করা হয় জড়িত ৩জনকে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ভিকটিমকে পাঠানো হয়েছে।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার্থে।