বাংলাদেশের জন্মকথা
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই
ছারছীনা শরীফের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ মোহেব্বুল্লাহ্
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। বাংলাদেশে যে কয়টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় তন্মধ্যে ‘দৈনিক ইনকিলাব’ অন্যতম। দেশের ইসলামপ্রিয় জনতার কণ্ঠস্ব^র ও মুখপত্র হিসেবে দৈনিক ইনকিলাবের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। মুসলিম তাহযীব-তমদ্দুনের লালন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইসলামি রেঁনেসা সৃষ্টিতে পত্রিকাটির অবদান প্রাতস্মরণীয়। সাবেক ধর্ম ও ত্রাণ মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি মাওলানা এম. এ. মান্নান প্রত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
মনে পড়ে, একবার আমার ওয়ালেদ ছাহেব কেবলা ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর মুজাদ্দেদে যামান হযরত মাওলানা শাহ্ আবু জা’ফর মোহাম্মাদ ছালেহ্ (রহ.) এর সঙ্গে মরহুম মাওলানা এম. এ. মান্নানসহ আমিও হজ্জের সফরে ছিলাম। পবিত্র মক্কা মোয়াজ্জমায় হোটেলে বসে মাওলানা এম. এ. মান্নান সাহেবকে লক্ষ্য করে হযরত পীর ছাহেব কেবলা বললেন, ‘মাওলানা ছাহেব, আমার জীবনের একটি আশা, বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা, আদর্শ, ইসলামি তাহযীব-তমদ্দুন ও তরীকা-তাসাউফের কথা বলার জন্য কোনো ইসলামী ভাবধারার দৈনিক পত্রিকা না থাকায় এমন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করা হোক।’ শুনেছি, বাগদাদ শরিফে বসেও হযরত পীর সাহেব কিবলা মুহতারাম মাওলানা সাহেবকে অনুরূপ কথা বলেছিলেন। মাওলানা এম. এ. মান্নান সাহেব হুজুর কেবলাকে বলেন যে, এ বিষয়ে হুজুরের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। দেশে ফেরার পর হযরত পীর ছাহেব কেবলার প্রত্যক্ষ মদদে মাওলানা এম. এ. মান্নান সাহেব ‘দৈনিক ইনকিলাব’ প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন এবং সফল হন। ক্রমান্বয়ে পত্রিকাটি খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করে। সাথে সাথে ইসলামবিদ্বেষী চক্রের ষড়যন্ত্র ও শত্রুতা এর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করেছে বারংবার। কিন্তু ইসলামপ্রিয় জনতা তাদের প্রাণের পত্রিকার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। ইনকিলাবের রুচিশীল লেখনী, আদর্শিক সাংবাদিকতার উপযোগিতা এখনো সমভাবে বিদ্যমান। পত্রিকাটি ছারছীনার মরহুম পীর হযরত মাওলানা শাহ্ আবু জা’ফর মোহাম্মাদ ছালেহ (রহ.) ও মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহ.) এর অমর স্মৃতি বহন করে চলেছে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ইসলামী কৃষ্টি-কালচারের উৎকর্ষ সাধন ও জনসাধারণের কল্যাণে দৈনিক ইনকিলাবের ভূমিকা চিরদিন অম্লান রাখতে আল্লাহতা’য়ালার দরগাহে ফরিয়াদ জানাই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে সম্পাদক, সাংবাদিক, কলাকুশলীসহ পাঠক মহলকেও জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জৈনপুরী পীর সাহেব আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান
ঐতিহ্যবাহী দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি দেশ, জাতি ও দ্বীনের সেবায় নিয়োজিত থেকে অকুতভয়ে সত্যের বাণী প্রচার করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে সেবা করে যাচ্ছে। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, মাদরাসা শিক্ষার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সুযোগ্য মন্ত্রী, মরহুম হযরত মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব আমার অতি প্রিয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তিনি ও তাঁর বড়ভাই ওলিয়ে কামিল হজরত মাওলানা মরহুম আব্দুস সালাম সাহেব আমার প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মাদপুরস্থ আদর্শ ইসলামি মিশন মহিলা কামিল মাদরাসা, এতীমখানা, হিফজখানা ও রাহমানিয়া জৈনপুরী খানকা শরীফ কমপ্লেক্সে তাশরীফ এনে দোয়া করে গিয়েছেন। আমি নিজে মরহুম এম এ মান্নান সাহেবের জীবদ্দশায় যতবার দেখা করেছি, তিনি অতি সম্মানের সাথে আমাকে আপ্যায়ন ও আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করতেন, যা কখনো ভোলা যায় না।
পত্রিকার মাননীয় সম্পাদক তাঁর সুযোগ্যপুত্র, আমাদের নয়নমণি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সুযোগ্য সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেব স্বীয় পিতার মতো এই পত্রিকার মাধ্যমে দেশ ও জাতির বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষার রূহকে তাজা রেখেছেন। বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং মানবের সত্যিকার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অতন্দ্র প্রহরির কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি হকের প্রচারক মজলুম ও নিপীড়িত মানুষের মুখপত্র ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
ফুলতলীর পীর সাহেব হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী
নাহমাদুহূ ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম। ‘দৈনিক ইনকিলাব’ আমাদের অন্তরে এমন স্বচ্ছ আবেগ সৃষ্টি করে- যাতে আমরা জন্মভূমিকে ভালবাসি, মানুষকে ভালবাসি, দ্বীনী কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নতি কামনা করি, অনর্থক ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে সময়কে সঠিক কর্মে ব্যয় করতে পারি।
দোয়া রইল, ইনকিলাবের কাজে যারা শ্রম দান করছেন, আল্লাহতাআলা যেন, খালিছ নিয়তে সঠিকভাবে তাদের কার্যক্রম আরো সুন্দরভাবে পরিচালিত করার তৌফিক দান করেন।
চরমোনাই-এর পীর সাহেব মুফতি
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম
দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিতে সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিক, শুভান্যুধায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আল্লাহতায়ালা সবাইকে সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তার একান্ত বান্দা হিসেবে কবুল করুন, এই দোয়া করছি। ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব ৩৫ বছর ধরে দেশ জনগণের বিশ্বাস ও দর্শন লালনের জন্য কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়েও তার নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। দৈনিক ইনকিলাব নিজস্ব স্বকীয়তা, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা এবং আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। মিডিয়া আজ স্বার্থান্বেষী বলয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও আস্থাহীন পরিবেশ উত্তরণে বিবেকবোধ সজাগ রেখে আরো জোরালোভাবে পথ চলতে হবে। অতীতের মতো নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রাখতে পারলে অভাবনীয় সাফল্যে ও মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে দৈনিক ইনকিলাব। দৈনিক ইনকিলাব জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা এবং ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পক্ষে জনমত গঠনে বলিষ্ট ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে, আগামীদিনেও তা আরো জোরালো হবে ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব বাংলাদেশে ইসলামের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইনকিলাব এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব বহন করছে। দেশ ও জনগণের পক্ষের পাঠকপ্রিয় দৈনিক ইনকিলাব নিয়ে বিভিন্ন সময় বহুমুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং দেশীয় সংস্কৃতির চর্চায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করায় চলার পথে ইনকিলাব নানা প্রতিক‚লতার মুখে পড়েছে। দেশ-জাতির জন্য নিবেদিত ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অঙ্গীকারে বলীয়ান দৈনিক ইনকিলাব নতুন প্রত্যয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করি। আল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে তার রহমতের চাদরে আচ্ছাদিত করুন। ইনকিলাব হয়ে উঠুক জনতার কণ্ঠস্বর, এটাই একান্ত কামনা।
নেছারাবাদের পীর সাহেব হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী
দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক অভিনন্দন ও মুবারকবাদ জ্ঞাপন করছি। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ, জাতির বাহন। সেই সংবাদপত্রকে হতে হয় ব্যাপক জনগোষ্ঠীর আশা-আকাক্সক্ষা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক। ইনকিলাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের সাংবাদিকতা জগতে সেই উদ্দেশ্যের অনেকাংশই পূর্ণ হয়েছে। দল-মত-ছেলছেলা নির্বিশেষে সর্বশ্রেণির মানুষের কথা বলার মাধ্যম হতে পেরেছে ইনকিলাব, এটা নিঃসন্দেহে একটি পত্রিকার সবচেয়ে বড় অর্জন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা ইনকিলাবের সুখ-দুঃখের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। জড়িয়ে আছেন এদেশের হক্কানী ওলামা, পীর-মাশায়েখ-আওলিয়ায়ে কেরাম। বিশেষত ইনকিলাব প্রতিষ্ঠায় ওয়ালেদে মুহতারম হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর অবদান পত্রিকার অব্যাহত যাত্রাকে নিঃসন্দেহে দুর্বার করেছে। আমরা সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন ছাহেবকে অভিনন্দন জানিয়ে বলবো, কোনো ব্যক্তি, দল কিংবা গোষ্ঠির পৃষ্ঠপোষকতা নয় বরং দেশ-জাতি ও উম্মাহর স্বার্থেই কেবল ইনকিলাব তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, এই প্রত্যাশা করছি।
মৌকারা দরবার শরিফের পীর হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নেছারউদ্দীন ওয়ালিউল্লাহী
দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাই। এ দীর্ঘ সময়ব্যাপী ধারাবাহিক প্রকাশনা নিঃসন্দেহে একটি জাতীয় দৈনিকের জন্যে গৌরবময় অর্জন।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ইনকিলাব দেশ, জাতি, সমাজ, সংস্কৃতি, ইসলাম ও উম্মাহর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে কথা বলেছে। সংকীর্ণতা, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শ, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ইসলামী জাতীয়তাবাদকে তুলে ধরেছে। মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি, উন্নয়ন ও দাবি আদায়ের আন্দোলনে সামনে থেকে অবদান রেখেছে। সাধারণ শিক্ষার বিষয়েও রয়েছে পত্রিকাটির বিশেষ অবদান।
আল্লাহতাআলার দরবারে ইনকিলাবের সার্বিক কল্যাণ, উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)’র মাগফিরাত ও মর্যাদা বৃদ্ধি এবং প্রিয় ভাই সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেক হায়াত কামনা করছি।
ফান্দাউক দরবার শরিফের পীর আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সৈয়দ সালেহ আহমাদ মামুন আল হোসাইনী
ইসলাম, মুসলমান ও দেশ-জাতির কল্যাণে নিবেদিত দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও বহুল প্রচারিত দৈনিক ইনকিলাব দীনদরদী মুসলমান, উলামায়ে কেরাম, হক্কানী দরবারসমূহ এবং বস্তনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রত্যাশীদের অন্যতম বিশ্বস্ত মুখপত্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইনকিলাব দেশ-জাতি, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর পক্ষে একনিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছে।
দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, মানবতা, শান্তি, কৃষি, তারুণ্য ও অর্থনৈতিক বিকাশ এবং ইসলামের নামে বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর অপতৎপরতা, সন্ত্রাসবাদ, অনৈক্য ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা বিনাশে এর রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী স্বার্থের প্রশ্নে ইনকিলাব নানা ঘাত-প্রতিঘাতেও কাবু হয় নি।
ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও দৈনিক ইনকিলাব আপন আলোয় উজ্জ্বল থেকে অবদান রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি পত্রিকাটির দীর্ঘ পথচলা ও সাফল্য কামনা করি।
সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের পীর শাহ সুফি আলহাজ অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রহমান
দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকা ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক মোবারকবাদ ও হৃদয় নিংড়ানো ফুলেল শুভেচ্ছা রইলো। তিন যুগ ধরে এর ধারাবাহিক প্রকাশনা এক গৌরবোজ্জ্বল অর্জন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইনকিলাব দেশ, জাতি, সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও মুসলিম উম্মাহর একনিষ্ঠ বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে কথা বলে আসছে। কোনো রূপ জড়তাগ্রস্ততা ছাড়াই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে বাংলাদেশে ইসলামী আর্দশ, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ইসলামী জাতীয়তাবাদকে তুলে ধরতে ইনকিলাব পারঙ্গম। মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি, উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসার এবং দাবি আদায়ের মুখপত্র হিসেবে এর অবদান অবিস্মরণীয়। ইনকিলাব সবসয়ই দেশের সকল হকপন্থী পীর-মাশায়েখ, উলামায়ে কিরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। ইনকিলাব তার অতীত ঐতিহ্যের ধারাহিকতা বজায় রাখবে, আন্তরিকভাবে এই দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
মশুরীখোলা দরবারের পীর সাহেব আল্লামা শাহ মুহাম্মদ আহছানুজ্জামান
দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অনন্য ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব এদেশের ইসলামপ্রিয় জনগণের অন্তরে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর সুযোগ্য সন্তান আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি ইনকিলাবের দীর্ঘায়ূ ও সাফল্য কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।