Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বান্ধব গণমুখী বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে ‘সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২১, ৬:৩৬ পিএম

২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য “জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ” শিরোনামে একটি বাস্তবমুখী, সময়োপযোগী এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব বাজেট মহান জাতীয় সংসদে পেশ করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়েছে ‘সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী সহ সকল মন্ত্রীবর্গকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিলেট চেম্বার। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, চলমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গণমানুষের জীবন জীবিকা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করে সরকার পরিচয় দিয়েছেন বিচক্ষণতার।

২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬শত ৮১ কোটি টাকা এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর থেকে আয় হবে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ২৫.৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করবে দেশের যোগাযোগ। এছাড়াও শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১৯.৭ শতাংশ এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেওয়ার ১৫.১ শতাংশ দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্তি করে ‘সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’।

চেম্বার সভাপতি আরো বলেন, গত বছর করোনা প্রকোপে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রচুর ক্ষতি সাধিত হওয়ায় সরকার আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদেরকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছেন। এরমধ্যে শিল্পের কাঁচামাল বা উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ, কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, ভ্যাট অনাদায়ের জরিমানা দ্বিগুন থেকে কমিয়ে ভ্যাটের সমপরিমাণ করা, পণ্য পরিবেশক ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ন্যূনতম কর হার কমানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভারে ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সময়োপযোগী সুবিধা প্রদানের ফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীগণ উপকৃত হবেন। বাজেটে করোনা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ঔষধের কাঁচামাল, করোনা টেস্টিং কীট, পিপিই, ভ্যাক্সিন ইত্যাদি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এছাড়াও নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রথম ৩ বছরের কর দশমিক ১০ শতাংশ রাখা এবং শহরের বাইরে হাসপাতাল স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর অবকাশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল স্থাপনে ভূমিকা রাখবে কার্যকরী। সর্বোপরী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট একটি উন্নয়নমুখী, সময়োপযোগী ও ব্যবসা বান্ধব। এই বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

সিলেট চেম্বারের পক্ষে অভিনন্দন দাতারা হচ্ছেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ, পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহবায়ক মো. এমদাদ হোসেন, মুশফিক জায়গীরদার, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ