মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৮ দলের জোট গঠনের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইসরাইলি কট্টরপন্থী নেতা নাফতালি বেনেট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাত্র ৬ আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।তবে নেতানিয়াহুকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসলেও ইসরাইলের আগ্রাসী মনোভাব কতটা পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। এমনকি অনেকের মতে, নেতানিয়াহুর চেয়ে অনেক বেশি ফিলিস্তিন বিদ্বেষী তিনি। ‘বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি নয়, বরং তাদের হত্যা করা উচিৎ’ ২০১৩ সালে এমন মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ইসরাইলি স্পেশাল ফোর্সের সাবেক এই কমান্ডার।
ইসরাইলি পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ১২০।অথচ তার মধ্যে মাত্র ৬ আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে নাফতালি বেনেট।উগ্রপন্থী নেতার দল ইয়ামিনা পার্টির সাথে জোটবদ্ধ হতে রাজি মধ্যপন্থীরা। ফলে মসনদ হারাতে বসেছেন ইহুদি এই রাষ্ট্রটিতে সবচেয়ে বেশি সময় নেতৃত্ব দিয়ে আসা বেনিআমিন নেতানিয়াহু।ইসরাইলি স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডো বেনেট পেশায় একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।২০০৫ সালে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন বেনেট।
এর পরের বছরই তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা নেতানিয়াহুর প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালে উগ্র ডানপন্থী দল জুইসন পার্টির নেতৃত্বে আসেন নাফতালি বেনেট। তার নেতৃত্বেই বিস্তার লাভ করে দলটি।তবে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে।কট্টরপন্থী এই নেতা ঘোষণা দেন, বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দিয়ে হত্যা করার। অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অংশ হিসেবেও ঘোষণার দাবি জানান।ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করতে আহবান করেন তৎকালীন সরকারকে। ২০১৮ সালে জুইসন পার্টির নাম বদলে ইয়ামিনা পার্টি করেন বেনেট।
নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষা, শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।গেলো বছর নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে জায়গা হয়নি বেনেটের। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে দ্বন্ধ। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-জালিয়াতির অভিযোগ আনেন তিনি।করোনা মহামারিতে স্বাস্থসেবা সংকটের জন্য দায়ী করেন নেতানিয়াহুকে।রোববার মধ্যপন্থী নেতা এয়ার লাফিডের সঙ্গে মিলে জোট সরকার গঠনে সম্মত হন বেনেট।ফলে নতুন সরকারের চার বছরের মধ্যে প্রথম দুই বছর থাকবেন বেনেট।আর পরের দুই বছর লাফিড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।