মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। গত সপ্তাহে করাচী থেকে কাসুর পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য ইসলামাবাদ ও মস্কোর মধ্যে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করার পর কর্মকর্তারা সোমবার এ সম্ভাবনার কথা জানান।
উত্তর-দক্ষিণ গ্যাস পাইপলাইন, যা এখন পাকিস্তান স্টিম গ্যাস পাইপলাইন হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। রাশিঢা ও পাকিসবতন উভয় দেশই তাদের স্নায়ূ যুদ্ধের শত্রুতা কাটিয়ে উঠতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন যুগে প্রবেশের সিদ্ধান্তের ফলে এটি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পেপরিণত হযেছে। এই চুক্তিটি মূলত ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে, রাশিয়ার সংস্থাগুলির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য ইস্যুগুলির কারণে ১১ শ’ ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনটির কাজ তখন শুরু করা যায়নি। অবশেষে, উভয় পক্ষই এই বাধাগুলি অতিক্রম করেছে এবং একটি সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যা এখন পাইপলাইনে পাকিস্তানকে ৭৪ শতাংশ অংশীদারীত্ব দেবে। এর আগে, পাইপলাইনের ১০০ শতাংশই রাশিয়ার ‘বিল্ট, অপারেটিং এবং ট্রান্সফার’ মডেলের অধীনে নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। বর্তমান প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে প্রায় ২.২২ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের কর্মর্তারা মনে করছেন যে, পাকিস্তানের জন্য এই প্রকল্পের কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত তাৎপর্যও রয়েছে। তারা বলেন যে, পাকিস্তান তার পররাষ্ট্রনীতিতে বিকল্প বৈচিত্র আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। গত এপ্রিলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ প্রায় ৯ বছরের ব্যবধানে ইসলামাবাদ সফর করেন। সফরকালে তিনি পুতিনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি নেতৃত্বের কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন যে, মস্কো ইসলামাবাদকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তা দিতে তৈরি রয়েছে।
উভয় পক্ষই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফরের লক্ষ্যে কাজ করছে। পাতিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলি বলছে যে, পুতিন যখন বিক্রি করার মতো বড় প্রস্তবনা নিয়ে সফর শুরু করতে চান। পাকিস্তান পুতিনকে দিয়ে প্রকল্পটির ভিত্তি ব্রেকিংয়ের উদ্বোধন করাতে আগ্রহী, যা এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে ঘটতে পারে।
দুই দেশ কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার বিকল্পগুলিই অন্বেষণ করছে না, রাশিয়া এখন পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতেও আগ্রহী, যা তারা ভারতের বিরোধিতার কারণে অতীতে এড়িয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, উভয় দেশ ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে, যা মস্কো এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষণ। এর পাশাপাশি, আফগানিস্তানসহ মূল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও তারা একই মত পোষণ করে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।