Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঘাটাইলে বন বিভাগের জমিতে ভবন নির্মাণ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সংরক্ষিত বনভ‚মি দখল করে ঘর বাড়ি ও দালান নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে এলাকার প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ১৯২৭ সালের সংশোধিত বন আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে সংরক্ষিত বনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা পরিচালনা না করার নির্দেশ রয়েছে।
বন বিভাগের সাগরদিঘী বিটের আওতায় উপজেলার ফুলমালিরচালা করিমগঞ্জ এলাকায় গেলে দেখা যাবে, বন বিভাগের ৫৫৩নং হাল দাগের জমিতে বহুতল পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে। ভবনটি নির্মাণ করছেন এলাকার প্রভাবশালী খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি। বনবিভাগের ত্রিশ শতাংশ জায়গা দখল করে পাকা ভবনটি নির্মাণ করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। শুধু ফুলমালিরচালার করিমগঞ্জ নয় বন বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে এভাবেই ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে প্রভাবশালীরা।
আবার অনেকে সড়কের পাশে বনবিভাগের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া প্রভাবশালীরা বনের জায়গা দখল করে কলা, আনারস, লেবু, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করছেন এবং নিজেদের দখলে রেখেছেন। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় বন কর্মকতা ও স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যক্তি। জবর দখলের কারণে দিন দিন বনভ‚মির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইল বনবিভাগের একটি জরিপ অনুযায়ী দেখা যায়, ঘাটাইল উপজেলায় বনভ‚মির পরিমাণ ২৫ হাজার ৭৮৫ একর। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই দখল হয়ে গেছে এক হাজার ৯শ’ একর বনভ‚মি। দখলদার রয়েছেন ৫ হাজার ৪২১ জন।
বন বিভাগের জায়গায় প্রকাশ্যে ঘর বাড়ি নির্মাণ করলেও বনকর্তারা নীরব। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলে পাকা ভবন, ঘর বাড়ি, দোকানপাট নির্মাণের কাজ। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো বন মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয়। সম্প্রতি প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ফুলমালিরচালা গ্রামের গৌরাঙ্গ, আজহার আলীসহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে খোরশেদ আলম বলেন, চারপাশে বনবিভাগের জমি থাকলেও আমি যে জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করছি সে জায়গাটি বনবিভাগের নয়। তারপরও বনবিভাগ আমার বিরুদ্ধে ভ‚মি জবর দখলের মামলা করেছে। এখন আমি বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।
ধলাপাড়া রেঞ্জকর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, খোরশেদ আলমের নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন বিভাগের জমি জবর দখল ও ভবন নির্মাণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন বিভাগের জবর দখলকৃত জমি উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভবন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ