বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনা-পুরাকাটা আঞ্চলিক সড়কে ১০০ মিটার খানাখন্দের জন্য তিন উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক সড়কটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বরগুনা-পুরাকাটা সড়কে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করে। একই সড়কের চরকগাছিয়া নামক স্থানে চীনা কোম্পানি একটি কালভার্ট নির্মাণ করে। সওজের ঠিকাদার মাহফুজ খান চীনা কোম্পানির নির্মিতব্য একশ’ মিটার বাদ দিয়ে তার অংশে কাজ শেষ করে চলে যান। কালভার্ট নির্মাণ শেষ হলে ওই স্থানে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয় চীনা কোম্পানি। ঈদের আগে থেকে ওই স্থানে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে। সামান্য বৃষ্টি হলে পটুয়াখালী, আমতলী, কলাপাড়া ও কুয়াকাটা সি-বিচের সঙ্গে বরগুনার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন কি পায়ে হেঁটেও মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, বেড়িবাঁধটি তাদের। তারা সড়কটি পাকাকরণের জন্য বরগুনা সওজ এ হস্তান্তর করায় আঞ্চলিক মহাসড়কটি সওজ করেছে। সওজের অফিস সহকারী মামুন বলেন, ওই একশ’ মিটার রাস্তায় কালভার্ট করার কারণে বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ড থেকে টাউন হল পর্যন্ত অতিরিক্ত কাজ করেছেন ঠিকাদার মাহফুজ খান। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরগুনা সড়ক বিভাগের উদাসীনতার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাসচালক আবদুল মজিদ বলেন, মাত্র একশ’ মিটার খানাখন্দের জন্য ঈদের পর থেকে বরগুনা-পুরাকাটা সড়কে বাসসহ অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সওজের বরগুনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল আহসান বলেন, আমি পটুয়াখালী থাকি। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছি বরগুনার। ওই সড়কটি আমরাই করব। তবে এত বেহাল দশা হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।