Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে ত্রিভুজ প্রেমের কারণে বিসিএস পরীক্ষার্থী ইমনকে গলাকেটে নৃশংস হত্যা

গ্রেফতারকৃত আসামী তোবারকের জামিন নামঞ্জুর

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২১, ১০:১১ পিএম

মাদারীপুরে ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই বিসিএস পরীক্ষার্থী ইমনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী তোবারক ফরাজী ওরফে মেহেদী ফরাজীকে জামিন দেয়নি আদালত । শিশু আদালতে তাকে শিশু পরিচয়ে ইতিপূর্বে জামিনের আবেদন করা হলে আজ মঙ্গলবার জামিন শুনানি শেষে বিচারক দিলরুবা সুলাতানা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে। এ খুনের মামলার মুল হোতা জামাল মাতুব্বরকে পুলিশ ঘটনার পরদিন ১৭ মে এবং ত্রিভুজ প্রেমের নায়িকা লাবনী চৌধুরী (২০)কে এবং মেহেদী ফরাজীকে ২৫ মে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে লাবনী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওই দিনই ফৌজাদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। এছাড়া ২২ মে রমজান ফকির ও রিদয় মাতুব্বরকে এবং ২৪ মে এখলাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করায় এ পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেফতার করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে মাদারীপুরের শিবচরের চর-বাঁচামারা গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয় বিসিএস পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনের। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করলে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শিবচর উপজেলার উত্তরচর তাজপুর গ্রামের আলমগীর চৌধুরীর মেয়ে কথিত প্রেমিকা লাবনী আক্তার (২০) ও তার সহযোগী একই উপজেলার দত্তপাড়া খাড়াকান্দি গ্রামের মনসুর ফরাজীর ছেলে মেহেদী ফরাজী (১৯)।

মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আল মামুন জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুঁড়ি ও ইমনের হাতঘড়ি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে । মামলাটি জেলার গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ তদন্ত করছেন। শিগগিরই আদালতে অভিযোগ পত্র দেয়া হবে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এক বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে ইমনের সাথে পরিচয় হয় লাবনীর। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন দুজনে। পরে লাবনীর সাথে পরিচয় হয় কামরুজ্জামান কামরুল নামের এক যুবকের। এরপর থেকে ইমনের মুঠোফোনে থাকা সব ছবি মুছে ফেলতে বলে লাবনী। ছবি মুছে না ফেরার কারণেই ঈদের দিন বিকেলে ক্লোল্ড ড্রিংসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে ছুঁড়ি দিয়ে গলাকেটে ইমনকে হত্যা করা হয়। ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই হত্যা করা হয় ইমনকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদারীপুর

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ