মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় অর্থনীতি ধুঁকছে। কয়েকবছর ধরে ভারতের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে চারম অবস্থা বিরাজ করছে দেশটিতে। গত ৪১ বছরের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতীয় অর্থনীতি। করোনোভাইরাসের দাপটের মধ্যে গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১ অর্থবর্ষ) ভারতীয় অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে জানুয়ারি থেকে পর্যন্ত ১.৬ শতাংশ আর্থিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ভারতে। যা পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকের থেকে ০.৫ শতাংশ বেশি। সেই সময় সদ্য লকডাউন কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল দৈনন্দিন গতিবিধি। অর্থাৎ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। তারপর অবশ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্থনীতির সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধাক্কা খেয়েছে। মুখ্য অর্থনীতি উপদেষ্টা কে ভি সুব্রমনিয়ান বলেন, ‘অর্থনীতির যে গতি এসেছিল, তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ধাক্কা খেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ১.৬ শতাংশ বেড়েছে। পুরো বছরে (২০২০-২১ অর্থবর্ষ) ভারতীয় অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে।’
তবে করোনাভাইরাসের কারণেই যে শুধুমাত্র ভারতীয় অর্থনীতি ধুঁকছে, তা নয়। করোনার দাপট শুরু হওয়ার আগেও অর্থনীতি ঢিমেতালে চলছিল। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতজুড়ে লকডাউনের ফলে ক্রেতাদের চাহিদা এবং আস্থা ব্যাপকভাবে ধাক্কা খায়। স্বভাবতই ধুঁকতে থাকে অর্থনীতি। তার ফলে গত ৪১ বছরে এই প্রথম পুরো একটা অর্থবর্ষে সার্বিকভাবে সংকুচিত হয়েছে অর্থনীতি। পাশাপাশি যা সর্বনিম্ন। ১৯৭৯-৮০ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্কোচনের হার ছিল ৫.২ শতাংশ।
এমনিতে ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১ অর্থবর্ষ) ভারতের অর্থনীতি কমে ১৩৫ লাখ কোটি রুপিতে ঠেকেছে। যা ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে ছিল ১৪৫ লাখ কোটি রুপি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেই ১৪৫ লাখ কোটি রুপির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চলতি অর্থবর্ষে ১০-১১ শতাংশ হারে বাড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই। অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবণতাও ধাক্কা খেয়েছে। তাই ভিত্তি কমে গেলেও আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০-১১ শতাংশে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।