পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। তাছাড়া মূল্য সূচক কমলেও লেনদেন প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এতে স্পষ্ট বড় পার্টি বাজার থেকে শেয়ার কিনছেন। সুতরাং এই দরপতন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন।
এদিকে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো বাজার মূলধন গতকালের পতনের মধ্যেও আরো উচ্চতায় উঠেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ তিন হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ পতনের বাজারেও মূলধন বেড়েছে ৪০৯ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়লেও ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির। আর ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসও ঊর্ধ্বমুখিতার মাধ্যমে পার করে বাজার। এতে প্রায় ৩৯ মাস পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে। ছয় হাজার পয়েন্টের এই মাইলফলক স্পর্শ করার পরের দিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আবারো ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দুই পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দরপতনের বিষয়ে ডিএসই’র পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, এটা অবশ্যই স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। কয়েক দিন ধরেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এখন থেকে একটু মূল্য সংশোধন হবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমি ভয়ের কিছু দেখি না।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কনফিডেন্স সিমেন্টের ৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম। এছাড়াও লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইফাদ অটোস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৬৯টির দাম কমেছে এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।