পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় গতকাল রোববার ২২টি খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ক্রেতা ছিল না প্রায় ৪০টি কোম্পানিরই। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।
এর ফলে বাজেট ঘোষণার দিন গত বৃহস্পতিবার ও বাজেট পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস-টানা দুই দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবার প্রত্যাশা ছিল বাজেটে অপ্রত্যাশিত অর্থ (কালো টাকা) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হবে। দ্বৈত কর নীতির পরিহার করা হবে, পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা হবে। করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা এক লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করের ১০ শতাংশ ব্যবধান রাখতে হবে।
কিন্তু বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন হয়নি। ফলে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। তাতে বড় দরপতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজার দুটিতেই লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক উঠানামা করে। কিন্তু তারপর থেকে লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত শেয়ারের দাম কমেছে। সূচকও কমেছে।দিন শেষে ডিএসসিতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২২টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩০৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।
সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারের। এই তিন খাতের দেখা-দেখি অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ১০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর একদিন আগে লেনদেন হয়েছিল ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, বিডিকম, আইপিডিসি, বিএসসি, ফরচুন সুজ, বিডি ফাইন্যান্স, ফুয়াং ফুড, সালভো কেমিক্যাল এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২২৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৪ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।