পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দুই কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল আবারও দরপতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। এর আগে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহষ্পতিবারে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার দুই বাজারেই সবকটি সূচক বাড়ে। যদিও লেনদেনে অংশ নেয়ার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছিল। মূলত ব্যাংকের ওপর ভর করে সূচকের ওই ঊর্ধ্বমখীতার দেখা মিলে। তবে গতকাল ব্যাংক খাত সেই ধারাবাহিকতা আর রাখতে পারেনি। দিনভর একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দামের পতন হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে অন্য খাতের ওপরে। ফলে পতন হয়েছে সবকটি সূচকের। অবশ্য সব থেকে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। যা মূল্য সূচককে বড় পতনের হাত থেকেও রক্ষা করেছে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আস্থা সংকটে ভুগছেন। যার প্রভাবে শেয়ারবাজারও ধুঁকছে। এখন শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ। আস্থা সংকটের কারণেই দুই কার্যদিবস কিছু ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাজারে বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে দরপতন হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৩৭টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৪৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি শেয়ারের দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।