পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছি। রোববার (৩০ মে) পল্লবীতে অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি একে এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এরপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের উদ্যো পল্লবী ও রুপনগর থানার ৬টি এতিমখানা ও মাদরাসায় খাবার বিতরণ করেন।
এসব এতিমখানা হচ্ছে- জামিয়া কুরবানিয়া মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানা, রিয়াজুল জান্নাত মাদরাসা ও এতিমখানা, জান্নাতুল মাওয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, মাদরাসা শাইখ যাকারিয়া (রহ) ও এতিমখানা, রূপনগর হাফিজিয়া ফোরকানিয়া জামে মসজিদ ও এতিমখানা, দুয়ারীপাড়া শাহী জামে মসজিদ ও মদিনাতুল উলুম এতিম খানা। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিশুদের হাতে খাবার তুলে দেন।
বিএনপির জন্ম ক্যান্টমেন্টে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির জন্ম কোথায় তা জানার দরকার নেই, তার কর্ম ভাল। ক্যান্টনমেন্টে যদি বিএনপির জন্ম হয়ে থাকে তা কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। কিন্তু যারা বলেন তাদের চিন্তা ধারা এবং জন্ম কোথায়? দেশের মাটিতে নাকি ভিন দেশে-এটা জানা জরুরী। কারণ, যারা শাসন করছে তারা দেশের জন্য নয়, দেশের জনগণের জন্য নয়। তারা হচ্ছে অন্য দেশের তরে।
গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবারই গণতন্ত্র হরণ করেছে। আর বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততোবারই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। একটি দেশের গণতন্ত্র না থাকলে সেদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়া। তাই, আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
জিয়াউর রহমানকে জাতির ক্রান্তিকালের দূত উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চুপ করে থাকেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। তিনি হচ্ছে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গত এক যুগের বেশি সময় পর্যন্ত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন, কারাবন্দি হয়েছেন। এখনো কার্যত তিনি মুক্ত হন। তাই, তাকে সবাই মাদার অব ডেমোক্রেসি হিসেবে ডাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।