Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাওলানা মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন

সাংবাদিকদের ডিবি যুগ্ম কমিশনার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ৬:৪০ পিএম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করছি। মাওলানা মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক মাওলানা কাসেমীকে। তার কাছেও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পেয়েছি, সেগুলোরও তদন্ত চলছে। এই অর্থায়নগুলো হয় বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। প্রবাসীরা মাদরাসা কিংবা মাদরাসা-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে থাকে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছু কিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে।
তিনি বলেন, এই টাকাগুলো বিদেশ থেকে আসার পর সেগুলো সঠিকভাবে হেফাজত ইসলামের নেতারা সঠিকভাবে মেইনটেইন করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকা-ে ব্যবহার করেছে। বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকা-ে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকা তারা তসরুপ করেছে। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে।
(ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। আবার অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন তারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছে। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৩০ মে, ২০২১, ৭:২৩ পিএম says : 0
    সমস্যা কিসের লেন দেন অবশ্যই হবে সারা দেশের মাদ্রাসা পরিচালনা করেছে সেখানে লেনদেন অবশ্যই হতে হবে।এই সমস্ত ভাঁওতাবাজি কথা জনগণ বুঝেন ।এদের অত্যাচার অবিচার করতে এই সমস্ত ভাঁওতাবাজি খবর জনগণ কে বুজাইলে জনগণ মেনে নিয়ে নিবে এতই বোকা না জনগণ। জলদি এই আলেমদের ছেড়ে দাও এদের আর অত্যাচার অবিচার করিও না।আল্লা পাক রাববুলআলামিন তাহা বরদাস্ত করবে না।তোমাদের উপর গুজব নাজিল হবে অচিরেই। তোমরা কি জানো তোমরা কাকে অত্যাচার অবিচার করতেছে এরা নায়েবে রাসুল এদের থেকেই আমরা তোমরা ইসলামের আদর্শ শিক্ষেছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ৩১ মে, ২০২১, ১:০৭ পিএম says : 0
    বাংলাদেশ রুলিং পাটিরা সদস্যরা আমাদের কষ্টার্জিত Tax Payers লক্ষ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে আর মামুনুল হক ছয় কোটি টাকা লেনদেন করে. এই ছয় কোটি টাকা তো হাতের ময়লা. বাংলাদেশের মানুষ সব বোঝে. কেয়ামতের দিন আল্লাহ তালা কে কি করেছে তার প্রমান সহ সবার সামনে বলে দিবেন, অবশ্য এটা বিশ্বাস করে না. যদি বিশ্বাস করতো তাহলে আমাদের দেশ কোরআন দিয়েই চালাতো, তাহলে আমরা খুব শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামুনুল হক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ