নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তিনজনের সাক্ষ্য সাক্ষ্য গ্রহণ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনূল হকের উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষ্যদাতাদের তিনজন হলেন- সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রয়েল রিসোর্টের আনসার সদস্য ইসমাঈল এবং এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান।

বিজ্ঞ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষ্য জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। সাক্ষীগন সকলেই মামুনুল হক ধর্ষণকাজে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেছেন। এ সময় মামুনুল হককে নিরব ভুমিকায় থাকতে দেখা গেছে।

কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষ্যদাতাদের সাক্ষীতেই প্রমাণিত হয়েছে এ ঘটনাটি সাজানো ও পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ আদালতে আনা হয় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে। পরে দুপুর ২টার দিকে আবার তাকে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।

সকাল থেকে এ নেতার সাক্ষ্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ঘটনার সূত্রে আগে ২৪ নভেম্বর ২০২১ইং প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে আবারও ৩রা নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।

১৩ ডিসেম্বর ২০২১ইং দ্বিতীয় দফায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, এক্সিকিউটিভ নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়ালের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।