পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
শিক্ষাই পারে যেকোনো জাতিকে স্বনির্ভর ও আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে। আর শিক্ষিত জাতি পারে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে। তাই যেকোনো জাতির সার্বিক উন্নয়নে সবার আগে শিক্ষাখাতকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণীত হওয়ার পর থেকেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অন্তত ছয় শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষাবিদরা। পাশ্চাত্যসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ শতাংশের বেশি ব্যয় করে। ভারত করে তাদের জিডিপির ৩.৫ শতাংশ, আমেরিকা করে ৫ শতাংশ, ইংল্যান্ড করে ৫.৬ শতাংশ, ব্রাজিল করে ৫.৬ শতাংশ, ইরান ৪.৭ শতাংশ,নেপাল ৩.৭ শতাংশ আর চীন করে ৪ শতাংশের উপরে। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা খাতের বরাদ্দের হার বাড়ানোর দাবি থাকলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না। ফলে গুণগত শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। ইউনেসকোর চাওয়া হলো, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হবে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৬ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই লক্ষমাত্রা থেকে দূরে অবস্থান করছে। গত এক দশক ধরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যথার্থ মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসছে না বেতনের অপ্রতুলতার কারণে। তাই, শিক্ষানীতি লক্ষ্য ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষক, পাঠক্রম, পঠন দক্ষতা বাড়াতে আরো বিনিয়োগ করতে হবে।
ফারজানা অনন্যা
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।