Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংকসম্পদের গুণগত মান বাড়াতে হবে

মো. মাঈন উদ্দীন | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

নার্ভ হলো রক্ত চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নার্ভের কোনো ক্ষতি হলে, রক্ত চলাচল ব্যহত হলে শরীরের উপর তার প্রভাব পড়ে। অর্থনীতির রক্ত চলাচলের মাধ্যম হলো ব্যাংক। অর্থের আদান প্রদান সবই ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সেটা যদি দুর্বল হয় তাহলে অর্থনীতির স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। আমানতকারীরা তাদের প্রয়োজনে বা লাভের উদ্দেশ্যে ব্যাংকে টাকা রাখে। ব্যাংক এ টাকা থেকে লাভের উদ্দেশ্যে ঋণ দেয়। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক নিয়মকানুন আছে। আইন আছে। নীতিমালা আছে। কাকে ঋণ দেয়া যাবে, কত দেয়া যাবে, ঋণ ফেরত আসার সম্ভাবনা কতটুকু, ঋণের জামানত কত নেয়া দরকার ইত্যাদি দেখে-বুঝে ঋণ দিতে হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম বিধি মেনে বিনিয়োগ দিতে হয়। বিনিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মকানুন না মানলে, কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে ঋণ দিলে কিংবা যে খাতের জন্য ঋণ অনুমোদন করা হয় সে খাতে অর্থ না খাটিয়ে ফান্ড ডাইভার্ট করলে এবং ঋণ দেওয়ার পর সঠিকভাবে তদারিক না করলে, জামানতে দুর্বলতা থাকলে সে বিনিয়োগ-ঋণ যে কোন সময়ে ব্যাংকের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে, খেলাপি হয়। ব্যাংক সম্পদের গুণগত মান হ্রাস পায় ব্যাংক সম্পদের গুণগত মান হলো ব্যাংক পরিচালনার একটি দিক, যা কোন ব্যাংকের সম্পদের মূল্যায়নের সাথে জড়িত, যা ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পর্কিত ঋণের ঝুঁকির মাত্রা এবং আকার নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। সম্পদের গুণাগুণ প্রায়শই ঋণের মান ও ঋণ ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।

নানা কারনে ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান হ্রাস পায়। যেমন: নন-পারফরমিং ঋণ বৃদ্ধি পাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া, জামানত ত্রুটি, বিনিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম না মানা, জামানত মূল্যায়নে ত্রুটি। খেলাপি ঋণ ও অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণও বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দুর্বলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহির অভাবেও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পায়। আবার ঋণখেলাপিদের নানাভাবে ছাড়, ব্যাংক মালিকদের নানা সুবিধা দেওয়া, করোনার দোহাই নিয়ে ঋণ খেলাপিদের সুযোগ নেয়া, ব্যাংক ঋণের আদায় হ্রাস পাওয়ায় ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। ঋণ খেলাপি বেড়ে গেলেও তা প্রদর্শিত হচ্ছে না। অন্যদিকে ব্যাংকের রিকভারি অনেক কমে যাচ্ছে। করোনার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ শিথিলতার কারণে ও ঋণ পরিশোধ না করলেও কাউকে ঋণ খেলাপি বলা যাচ্ছে না। করোনার কারণে ঋণ খেলাপিরা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ঋণ পরিশোধের চাপ থেকে মুক্ত আছে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিরা। এতে ব্যাংকের আয় না বেড়ে কৃত্রিম আয় বাড়ছে। এতেও ব্যাংক সম্পদের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ঋণ অবলোপনসহ দেশে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৪০ হাসার ১৬৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ২৬ শতাংশ। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ দেখিয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আদালতের স্থগিত আদেশে ৭৯ হাজার ২৪২ কেটি টাকার ঋণ আটকে ছিল। তাছাড়া তখন বিভিন্ন কারণ ও রাজনৈতিক হস্তাক্ষেপেও ২১ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা পুনঃতফসিল করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের ওপর শিথিলতা আরোপের কারণে ঋণ খেলাপি হলেও খেলাপি দেখানো যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বর ২০২০ ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণ ছিল ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে খেলাপী ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যদিও জুন-২০২০ এ খেলাপি ছিল ৯৬ হাজার ১১৭ কোটি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ দেশে ব্যাংকখাতে মোট ঋণ ছিল ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৮ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৪২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি ৪০ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা ছিল। বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ২ হাজার ৩৮ কোটি ও বিদেশি ব্যাংকের ছিল ৪ হাজার ৬১ কোটি টাকা । ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক শিথিলতা আরোপ করে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি দেখানো যাবে না এ মর্মে সময়সীমা বর্ধিত করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এ শিথিলতা বর্ধিত করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত। আবারও ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনা করে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ফলে ১ টাকা পরিশোধ না করেও অনেক ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে সময় পার করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ শিথিলতায় গত বছর ঋণ আদায় না বাড়লেও খেলাপি ঋণ বাড়েনি। বরং কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকিং খাতে এ পরিস্থিতি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে ভালো গ্রাহকও ঋণ পরিশোধে গাফলতি করছে। ব্যাংকের ঋণ আদায়ের গতি অনেক কমে যাচ্ছে। এটা এ খাতের জন্য একটি অশনিসংকেত। কিছু দেশ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তলোনের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। ফলে সব কিছু ঠিকঠাক মতো চললে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মর্যাদা দেওয়া হবে। এই স্বীকৃতির পিছনে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের অসামান্য অবদান রয়েছে। অথচ, ১৯৮২ সালে বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ধরলে বিগত ৩৯ বছরে ব্যাংকিং খাত নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, নীতিবহির্ভূত কাজ হয়েছে। অথচ, এর প্রতিকার তেমন হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসৎ কর্মকর্তার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ব্যাংকিং খাতে শৃংখলা ফিরে আসতে পারেনি। একটি গ্রহণযোগ্য শক্তিশালী ব্যাংক কমিশনও গঠন করা যায়নি। ফলে কিছু অনিয়মচিত্র যেমন: হলমার্ক গ্রুপের ৪ হাজার কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৫ হাজার কোটি টাকা, এ্যানন টেক্স গ্রুপের সারে ৫ হাজার কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ্ গ্রুপের ১ হাজার ২০০ কোটি, সানমুন স্টার গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ কোটি, বেসিক ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা কারো অজানা নয়। অবশ্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তদারকির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগকে পুনর্গঠন করেছে। এ ব্যাপরে দুটি পরিপত্র জারি করেছে। চারটি ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ বিলুপ্ত করে নতুন ৮টি বিভাগ গঠন করা হয়েছে এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যার একটি অংশ নীতি প্রণয়ন করবে, অন্য অংশ তদারকি করবে। এ পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে সরকারের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা দরকার। না হলে উপরের হস্তক্ষেপে তা চাপা পড়ে যাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, এক পরিবারে ২ জনের বেশি পরিচালক থাকার সুযোগ ছিল না, অথচ ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পাশ করে- ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী। সেখানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকার সুযোগ করে দেয়। পরিচালক টানা নয় বছর পর্ষদে থাকতে পারবেন বলা হয়, যা আগেছিল ছয় বছর। এর মাধ্যমে ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কেউ কেউ বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। ঋণখেলাপি হয়েছে কোন কোন ব্যাংক মালিকও। এসব সমাধানের জন্য ব্যাংকগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে। লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাকে লোন দেব, কাকে দেব না, কোথায় শাখা হবে এ ব্যপারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মোটেও কাম্য নয়। ব্যাংক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে একে মুক্ত রাখা উচিৎ।

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমার আশায় ও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংজ্ঞা প্রদান সহ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের শাস্তি ও জরিমানা বিষয়ে চলতি মে মাসে ব্যাংক কোম্পানি সংশোধনী আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। এ খসড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রথমবারের মতো ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহিতার’ নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘যিনি নিজের বা স্বার্স্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নামে বেনামে বা অস্তিত্তহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তা পরিশোধ করবেন না তিনিই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি।’ এতে বলা হয়েছে, যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হবেন, হয়েছে তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না, গাড়ি-বাড়ি নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে সরকার। রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা পাবেন না বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক সংগঠনের কোনো পদেও থাকতে পারবেন না।

আইনটি সংসদে পাশ হলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হিসাবে তালিকাভুক্ত বা প্রতিষ্ঠান ঐ তালিকা থেকে অব্যহতি পাওয়ার পর পাঁচ বছর না যাওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালকসহ মোট পরিচালক হবেন ন্যূনতম ১১ সর্বোচ্চ ২০ জন তবে স্বতন্ত্র পরিচালকের অনুপাত অবশ্যই মোটি পরিচালকের এক পঞ্চমাংশ হতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকের ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার বিধান রয়েছে। শাস্তি ও জরিমানা সংক্রান্ত বিধান কঠোর করা হয়েছে সংশোধনীতে। কেউ বিভ্রান্তমূলক, মিথ্যা বা মনগড়া দলিল বা তথ্য সরবরাহ করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার ৩ বছর কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডই হবে। সংশোধনীতে অনেকগুলো ভালো উদ্যোগের কথা থাকলেও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী চিহ্নিত করাটাই কঠিন। যে কোন সংশোধনীর ভালো দিক থাকে, তবে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি ও খেলাপী ঋণ হ্রাস, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিনিয়োগের আদায় (রিকভারী) বাড়ানোসহ ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দরকার ব্যাংকগুলোতে সু-শাসন।
লেখক: অর্থনৈতিক বিশ্লেষক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন