বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুরির পর গ্রেফতার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে বেশভূষা পাল্টে ফেলেন। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। সিসি টিভি ফুটেছে ছবি দেখে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। প্রবাসীর বাসায় হানা দিয়ে ২১ লাখ নগদ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটের নয় দিন পর বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন শহীদ পাড়া চার রাস্তার মাথা মোঃ হোসেনের কলোনী ৩নং রুম থেকে আসামী এমরান হোসেন মানিক ওরফে ছোট মানিককে (২৬) বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ১৮ মে দিবাগত রাতে চান্দগাঁও থানাধীন চৌধুরী স্কুল খাজা রোড চুনারটাল চৌধুরী বাড়ী মেহেদী নবী ম্যানশনের ২য় তলায় ওমান প্রবাসী মোঃ নবী হোসেনের বাড়ীতে একটি ফ্লাটের দরজা ভেঙ্গে ২১ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। প্রবাসীর ভাই মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী দল ক্লু খুজতে গিয়ে ঘটনাস্থলের পাশের বিল্ডিং থেকে একটি অস্পষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। অন্ধকারের মধ্যে এক বিন্দু আলো আশার বাতি জ্বালায় তদন্তকারী দলকে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন ও পর্যালোচনা করে তদন্তকারী দল চোর চক্রকে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের জন্য কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের সকল কলাকৌশল ও গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে চোর চক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় তদন্তকারী দল। কিন্তু চোর চক্র অত্যন্ত চালাক ও কৌশলি হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে বেগ পেতে হয়। গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল হিসেবে চোর মানিক চুরি করার পরেই তার মাথা ন্যাড়া করে ফেলে। কিন্তু মাথা ন্যাড়া করেও সে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। মানিকের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় এবং চুরি করা টাকা থেকে তার ভাগে প্রাপ্ত টাকার অংশ হতে গত ২০ মে ক্রয়কৃত একটি বাজাজ পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। তার স্বীকারোক্তিমতে অন্যান্য চোরদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রথমে, চোরদলকে আশ্রয় ও ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জান প্রদানকারী জনৈক কামরুল ইসলামের পাঁচলাইশ থানাধীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং হোস্টেল সংলগ্ন বাসায় অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে ওই বাসা থেকে অত্র মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত দরজা ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি ও তার ভাগে পাওয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এছাড়াও উক্ত বাসা তল্লাশীকালে পুলিশ ৭৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। আসামীর কামরুল হাসানের স্ত্রী আরেফা বেগম সুমি কায়সার শশিকেও গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা জানায়, উক্ত কামরুল ছোট মানিক সহ বিভিন্ন চোরদের আশ্রয় প্রশয় প্রদান করে এবং তাদের কাছে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি চুরি করার কাজের প্রাথমিক খরচ প্রদান করে। আসামী কামরুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দায়ের করেছেন। আরও অভিযান পরিচালনা করে পাঁচলাইশ থানাধীন ২নং গেইট আলফালা গলি এলাকায় চোরদলের অপর সদস্য বড় মানিক এর ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে বড় মানিককে পাওয়া না গেলেও, উদ্ধার করা হয়েছে চোরাই ১৭ হাজার টাকা এবং চুরির টাকায় ক্রয় করা একটি চকচকে নতুন এলইডি টেলিভিশন। অন্যান্য চোরদের গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।