মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ওই শিশু রাজস্থানের বিকানেরের বাসিন্দা। এছাড়া গুজরাটের আহমেদাবাদে বছর পনেরোর এক কিশোরের শরীরেও মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ভারতে ২৯টি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে মোট ১১ হাজার ৭১৭ জন মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নমন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভারত সরকার এদিন বিভিন্ন রাজ্যে এ রোগ প্রতিরোধ এবং এর বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ করেছে। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বেশি, সেই রাজ্যে বেশি করে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই যুক্তি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে গুজরাটে। সেই রাজ্যে গিয়েছে ওষুধের ৭ হাজার ২১০টি ডোজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৯৮০টি ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্পোটারিসিন বি’র উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যগুলি প্রয়োজন মতো ওষুধ পাবে।
উল্লেখ্য, রোগটি মূলত করোনা রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। অতিরিক্ত স্টেরয়েড নেওয়া, বেশি দিন আইসিইউতে থাকা অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। এর উৎস শাকসবজি, মাটি, ফল ও প্রতিদিন একই মাস্ক পরা। তা ছাড়া, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হরমোন থেরাপি নেওয়ার পর সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গুজরাটে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২ হাজার ৮৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭০ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭৫২ জন এ ছত্রাকের কবলে পড়ে চিকিৎসারত। রোগটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। কোভিড থেকে সেরে ওঠার ১০ থেকে ১৮ দিনের মধ্য এই ছত্রাক আক্রমণ করছে মানুষকে।
রোগটির উপসর্গ : মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, শ্বাসকষ্ট, নাকের ওপর কালো বা ধূসর বর্ণ, মুখের মধ্যে তালু বিবর্ণ, জ্বর, মুখের এক পাশ ফুলে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির তারতম্য, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, কাশিতে রক্ত পড়া এবং বুকে ব্যথা।
করণীয় : কোভিড-পরবর্তী ডায়াবেটিস ও স্টেরয়েড থেরাপির রোগীরা নিয়মিত ব্লাড সুগার চেক করে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ও পুষ্টিবিদের পরামর্শে সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে। ফলের মৌসুম, ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত আম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচুর মতো মিষ্টি ফল খাবেন। শরীরের কোনো ক্ষতস্থান উন্মুক্ত রেখে বাইরে যাওয়া যাবে না, ঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া নতুন এ রোগ সম্পর্কে কোনো তথ্য অনুসরণ করা বোকামি হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কোভিড রোধে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সূত্র : রেডিও চায়না বাংলা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, টাইমস নাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।