Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়রায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ঘরবাড়ি, পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ৮:২৬ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রা উপজেলার ৬ টি পয়েন্টের পাউবো'র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য ঘের তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় মানুষ সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাগর হোসেন সৈকত বলেন, ‘কয়রায় ইয়াসের তান্ডবে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের সব এলাকাই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক এলাকায় ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ৭ হাজার। এর মধ্যে ৫০ টি ঘর সম্পূর্ণ, ১ হাজার ২০০ ঘর আংশিক ও ৫ হাজার ৮০০ ঘর অল্প পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছে। এর ফলে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম আলউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে কয়রা উপজেলায় ২ হাজার ১০০ মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য মাছের পুকুর ডুবে গেছে। মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কৃষির ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়েছে। গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়র খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে।’

কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া বাধেঁর মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ির পবনা, দশহালিয়া ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতির গেরি বাঁধ এখনও বাঁধা সম্ভব হয়নি।’ তবে দক্ষিণ বেদকাশি ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ কোন রকম বাঁধতে সম্ভব হয়েছে। তবে এসকল বাঁধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘বাঁধ বাঁধার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অনেক বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতা করা হবে।’

কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধ মেরামতের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ পানি বন্দি মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ