Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার জার্মানিতে এক ছাদের নিচে মসজিদ, চার্চ ও সিনাগগের ভিত্তি স্থাপন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম

জার্মানির বার্লিনে মুসলমান, খ্রিস্টান এবং ইহুদি তিন ধর্মের মানুষের প্রার্থনা করার জন্য তৈরি হচ্ছে একই ছাদের নীচে মসজিদ, চার্চ এবং সিনাগগ। ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে আজ বৃহস্পতিবার।
সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করাই ‘হাউস অব ওয়ান’ এর মূল লক্ষ্য বলে উদ্যোক্তারা জানান বুধবার। পারস্পরিক বিশ্বাসই এই প্রকল্পের মূল ভিত্তি বলে মন্তব্য করেন খ্রিস্টান যাজক গিয়র্গ হোব্যার্গ। ইহুদি রাব্বি আন্দ্রেয়াস নাচামা বলেন, সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকার একটি উদাহরণ হিসেবেই এই ভবনটি তৈরি করা হচ্ছে। মুসলিম ইমাম কাদির সানচি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, পার্থক্যের সুন্দর দিকগুলোই হাউস অফ ওয়ানে তুলে ধরা হবে।
জার্মান সংসদ বুন্ডেস্টাগের প্রেসিডেন্ট ভল্ফগাং শ্যয়বলে এবং বার্লিনের মেয়র মিশায়েল ম্যুলার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির সাদিয়াত আইল্যান্ডে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির ও সিনাগগ সম্বলিত একটি কমপ্লেক্স। সমন্বিত এই কমপ্লেক্সে ইসলাম ধর্মের প্রার্থনালয় হিসেবে মসজিদ, খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনালয় হিসেবে গির্জা ও ইহুদি ধর্মের উপসনালয় হিসেবে সিনাগগ ব্যবহৃত হচ্ছে।
বার্লিনে তিন ধর্মের মানুষের জন্য নির্মীয়মান এই ‘হাউস অব ওয়ান’ শেষ করতে চার বছর সময় লাগবে বলে ধরা হচ্ছে। এতে খরচ হবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি



 

Show all comments
  • Mehedi Hasan ২৭ মে, ২০২১, ১:৫৮ পিএম says : 0
    আসসালামু আলাইকুম আমি মনে করি এটা ভালো উদ্যোগ ধর্ম গোপন বিষয় নয় জে গোপন রাখতে হবে অবশ্য ই ধর্মের মধ্যে পার্থক্য টা সবার জানা উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • AZIM US SHAN ২৭ মে, ২০২১, ৬:৩০ পিএম says : 0
    নিঃসন্দেহে ভাল একটি উদ্যেগ। স্বাগত জানায়। আশা করি এর মাধ্যমে অনেক অমুসলিম ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ