বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি (৪২) ও উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটন (৪৩)। হামলার শিকার সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বসুরহাট বাজারের থানার পোলের নুর হোসেন ম্যানশন সংলগ্ন একটি ওষুধ ফার্মেসী দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ফার্মেসী দোকানও ভাঙচুর করে।
অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা সাবেক এই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কচি বসুরহাট বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সে রাত ১০টার দিকে বসুরহাট বাজারের থানার পোল সংলগ্ন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জাহান ট্রেডাস সংলগ্ন একটি ওষুধ ফার্মেসী দোকানের সামনে বসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিটনসহ চা পান করছিলেন। ওই সময় বসুরহাট পৌরসভা থেকে মির্জা কাদেরের অনুসারী শিহাব,ওয়াসিম ডাকাত মাসুদ,শিপন,মানিক,ফখরুল,দিলীপ,কামাল,সবুজ, সজল, খান, রুমন চৌধুরী ও কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ দল অতর্কিত হামলা চালিয়ে কচিকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এ সময় লিটন কচিকে বাচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে আহত করে।
মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু আরো অভিযোগ করেন, মির্জা কাদেরের অনুসারীরা এখন কোমরে অস্ত্র এবং হাতুড়ি নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দেয়। কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার আ’লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। এর আগে,গত (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা কচির দোকানে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোন ব্যস্ত পাওয় যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, কচিসহ দুইজনকে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। আহত দুইজনকে ইতোমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।