বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’এর প্রভাবে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে খুলনার উপকূলীয় তিন উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
জেলার কয়রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, পবনার বেড়িবাঁধ, মঠবাড়ি মঠের কোনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চোকুনী, তেঁতুলতলার চর, শিংগির-কণা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাতিরঘেরী, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে আংটিহারা ও বিনাপানি পদ্মপুকুর প্লাবিত হয়েছে।
পাইকগাছার সদর, কাঁচামালের পট্টি, সোনা পট্টি, কাপড়ের পট্টি, কাঁকড়া পট্টি, মাছ বাজারসহ পৌর বাজারের সকল রাস্তা পানির নিচে রয়েছে। কপিলমুনির আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ, দেলুটির চকরিবকরি, গেয়ুবুনিয়া, মধুখালী, পারমধুখালী, রাড়ূলীর মালোপাড়র বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি ঢুকেছে।
দাকোপ উপজেলার কামিনিবাসিয়া, পানখালী এবং মেরিন কোম্পানির আশপাশ সহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ- এ তিন উপজেলায় ৫ সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মধ্যে কয়রায় পাঁচ হাজার, পাইকগাছায় দুই শ’ ও দাকোপ ছয় শ’ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ ৫০ পরিবার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার ২ শ’ পরিবার।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, প্লাবিত এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে আছেন। তাদের খাবার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনীতিকরা সরবরাহ করছেন।
দাকোপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস জানান, আটটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে মোট ৬শ’ মানুষ। তাদের তদারকি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।