মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে বিপর্যস্ত ভারত। এক সময়ে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ এবং দৈনিক মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজারেও পৌঁছেছে। গত ২৪ মে পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬৯ লাখ। অন্য দিকে, প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭ হাজারের মতো। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, সরকারের খাতায় কোভিড পরিস্থিতির যে পরিসংখ্যান নথিভুক্ত হয়েছে, প্রকৃত আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তথ্য নথিভুক্তকরণের পদ্ধতিতে গলদ এবং কম কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রকৃত পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসছে না। ভারতে বহু মানুষই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তবে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বহু দেশেই এই ঘটনা ঘটছে, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশের বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে তিল ধারণের জায়গা পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। গ্রামেও সঠিক ভাবে তথ্য নথিভুক্ত হয়নি। করোনায় মৃত্যুর খবর অনেক সময়ে চেপেও যাওয়া হচ্ছে। মহামারি আবহে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে না।
ভারতের প্রকৃত কোভিড পরিসংখ্যান কেমন হতে পারে, তার রূপরেখা তৈরি করতে ৩ দফায় চলা সেরো সার্ভের তথ্যের উপর নির্ভর করা হয়েছে। প্রথম সমীক্ষা হয়েছে ১১ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় সমীক্ষা হয়েছে ১৮ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং তৃতীয় সমীক্ষার সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি। প্রত্যেক সেরো সার্ভেতেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ৩০ হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী দেখা গিয়েছিল, নথিভুক্ত পরিসংখ্যানের তুলনায় প্রকৃত পরিসংখ্যান ২৮ দশমিক ৫ গুণ বেশি। দ্বিতীয় সমীক্ষায় প্রকৃত সংক্রমিতের সংখ্যা ১৩ গুণ এবং তৃতীয় সমীক্ষায় ২৬ দশমিক ১ গুণ ছিল। মোট সংক্রমিতের বিচারে মৃত্যু হারও বেড়েছে। কারণ, মহামারিতে বিপুল রোগীর চাপে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই ভেঙে পড়েছে। তার ভিত্তিতেই ভারতের কোভিড পরিস্থিতির ৩টি সম্ভাব্য প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস্’-এ।
হিসাব একটু কম করেই ধরা হয়েছে প্রথম প্রকৃত সম্ভাবনার ক্ষেত্রে, যেখানে সরকারি হিসাবের তুলনায় মোট সংক্রমিতের প্রকৃত সংখ্যা ১৫ গুণ বেশি। অর্থাৎ সেই হিসাবে ২৪ মে পর্যন্ত সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৪০ কোটি ৪২ লাখ। যদি ধরে নেয়া হয়, মোট সংক্রমিতের ০ দশমিক ১৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লাখ। অর্থাৎ সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনায় ২ গুণ বেশি। দ্বিতীয় সম্ভাবনায় প্রকৃত হিসাব ২০ গুণ বেশি হলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩ কোটি ৯০ লাখ। মোট সংক্রমিতের হিসাবে মৃত্যুহার ০ দশমিক ৩০ শতাংশ হলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা হয় ১৬ লাখ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে প্রকৃত হিসাব যদি ২৬ গুণ বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা হবে প্রায় ৭০ কোটি এবং মৃতের সংখ্যা হতে পারে ৪২ লাখ। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।