Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, সংক্রমণ বেশি গুজরাটে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে এমনিতেই জেরবার ভারত, তার ওপর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানা। ভয়াবহ এ রোগ এবার বাস্তবিকই মহামারির আকার নিচ্ছে। ভারতজুড়ে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৭ জন। মাত্র কয়েকদিনে সংক্রমণের এ গতি ভাবিয়ে তুলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কৃষ্ণ ছত্রাক সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে। সেখানে এ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ২ হাজার ৮৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭০ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭৫২ জন এই মারণ ছত্রাকের কবলে পড়ে চিকিৎসারত।

কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, যেসব রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বেশি, সেখানেই বেশি করে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই যুক্তি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে গুজরাটে। সেই রাজ্যে গিয়েছে ওষুধের ৭ হাজার ২১০টি ডোজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে দেয়া হয়েছে ৬ হাজার ৯৮০ ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্পোটেরিসিন বি’র উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে এবং আগামী দিনে রাজ্যগুলো প্রয়োজন মতো ওষুধ পাবে।

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করার নির্দেশ গেছে কেন্দ্রের তরফে। রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের পথ ধরে বাংলাতেও এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও, কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এ মুহূর্তে বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সক্রিয় কোনও রোগী নেই। তাই বাংলাকে আলাদা করে এ রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী অ্যাম্পোটেরিসিন বি’র ডোজও দেয়া হচ্ছে না। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ