পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি এখন আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দেশের সমগ্র গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ৩ কোটি ১৭ লাখ গ্রাহককে দুর্যোগকালীন সময়ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। আরইবি ও ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার বিদ্যুৎকর্মী নিয়মিতভাবে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণকে সতর্ক থাকার লক্ষে মাইকিং, মোবাইল এসএমএস পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার ক্ষতির পারিমাণ পাওয়া যায়নি। আরইবি সদর দপ্তর ও ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জরুরি কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য আরইবি, ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও এর আওতাধীন জোনাল অফিস, সাব-জোনাল অফিসভিত্তিক ফোকাল পয়েন্ট এবং বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় জ্বালানি মজুদ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) ইনকিলাবকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি এখন আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দেশের সমগ্র গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়েছে। বিপূলসংখ্যক গ্রাহকগণকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে আগত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা উত্তর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এখনো আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা হয়নি। অনেক এলাকায় পানি রয়েছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে। জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে জরুরি। আমাদের লোকজন সেইভাবে কাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস গতকাল সকাল থেকে ভারতের উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। এ বিপূলসংখ্যক গ্রাহকগণকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে আগত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা উত্তর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা এখনো রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং বিশালসংখ্যক গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ করে রাখা হয়েছেÑ যাতে যোগাযোগের বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। মোবাইল অপারেটর টাওয়ার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত রাখা হয়েছে। মোবাইল চার্জার/পাওয়ার ব্যাংক, হারিকেন, কুপি, হ্যাজাক বাতি, চার্জার লাইট, দিয়াশলাই ইত্যাদি মজুদ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জরুরি সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে এবং জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস বিবেচনায় সমিতির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
সকলকে স্টেশনে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। মিতির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ফিডারভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। ইলেক্ট্রিশিয়ান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/শুভাকাক্সক্ষীদের সাথে আগেই বৈঠক/ টেলিফোনিক যোগাযোগ করে ফিডারভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই ওই ফিডারের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত সমিতিগুলোর ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত ঠিকাদারের ক্যাম্পে যে সব মালামাল মজুদ রাখা হয়েছে। সব পবিস স্টোর প্রয়োজনীয় জনবলসহ সার্বক্ষণিকভাবে খোলা রাখেতে হবেÑ যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত মালামাল সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে কাজের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে জনবল। নির্দেশনা পাওয়া মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় গমন করতে পারে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে বিতরণ ব্যবস্থার দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য ফিডারভিত্তিক গঠিত মনিটরিং কমিটি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, পূর্বনির্ধারিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করবে এবং বাপবিবোর্ডে সিস্টেম অপারেশন পরিদফতরে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পরিচালক মনিটরিংক মো. রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আরইবি সদর দপ্তর ও ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য আরইবি, ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও এর আওতাধীন জোনাল অফিস, সাব-জোনাল অফিসভিত্তিক ফোকাল পয়েন্ট এবং বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।