Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে পুত্র ও পুত্রবধূর নির্যাতনে দিশেহারা এক পিতা !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৭:১৯ পিএম

পুত্র ও পুত্রবধূর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক বয়োবৃদ্ধ পিতা। অসহায় এই বয়োবৃদ্ধ নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রশাসনের। এহেন অমানবিক ও বেআইনি ঘটনা ঘটছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁওয়ের। আজ (বুধবার) এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন তার জীবনের হয়রানী ও নির্যাতনে মর্মস্পর্শী কাহিনী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন অপর এক পুত্রবধূ ইয়ারুন নেছা। নির্যাতিত আব্দুল জব্বারের সাথে স্ত্রী রাহিমা বেগমও।

এসময় নির্যাতিত আব্দুল জব্বার জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। বড় ছেলে দুদু মিয়া ও মেঝো ছেলে মানিক মিয়া তার বাড়িতে বসবাস করছে। অপর ছেলে বাবুল মিয়া এখন প্রবাসে। একান্নবর্তী সংসারে থাকা অবস্থায় নানা কারণে বড় ছেলে দুদু ও তার স্ত্রী আকলিমা তাকে এবং তার স্ত্রীকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে সংসার আলাদা হলেও অত্যাচার ও নির্যাতন কমেনি তাদের জীবনে। অতিষ্ঠ হয়ে ২০২০ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর স্থানীয় তেলীখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করেন তিনি। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে পরপর ৩ বার তাদেরকে নোটিশ দিলেও তোয়াক্কা করেনি তারা। ১৬ মার্চ বেত বাগানের দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে আহত করে ডাকাত জমসেদ, সন্ত্রাসী ফরিদ, আলী হোসেন, জফির, রফিক সহ কয়েকজন। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আমার ছেলে দুদু মিয়া সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আমার মুখের দিকে চেয়ে সিরাজুল ইসলাম তাকে আসামি করেননি। অথচ ১৫ মে আমার বড় ছেলে দুদুর স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় তার স্বামীর উপর হামলার অভিযোগে আমার মেঝো ছেলে মানিক মিয়া ও অপর মামলার বাদী সিরাজুল ইসলামের ছোটো ভাই সোনা মিয়া, তার চাচাতো ভাই আল আমিন সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে করে মামলা করেছে। মামলার কারণে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছাড়া বলে জানান আব্দুল জব্বার।

গত ১৯ মে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে আব্দুল জব্বার স্মারকলিপি দিয়েছেন উল্লেখ করে জানান, পুলিশ সুপার তাকে আশ্বস্থ করেছেন ন্যায় বিচারের। কিন্তু তার পরও ছেলে ও ভাতিজাদের নিয়ে মামলা পরিচালনার মত বয়স ও টাকা নেই তার কাছে। খেয়ে না খেয়ে আছে পরিবারের সদস্যরা। দুদু ও তার স্ত্রী আকলিমাও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদসহ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ