মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উপকূলের দিকে ছুটে যাচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রাথমিক আঘাত শুরু হয়েছে। ইয়াস আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে ঝড়ো হাওয়ার আকারে আঘাত শুরু করে। সেই সাথে ফুঁসে-ফুলে উঠেছে উত্তর বঙ্গোপসাগর।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের প্যারাদ্বীপ, বালসোর ও দীঘার খুব কাছাকাছি ছুটে এসেছে। এসব এলাকায় গাছপালা, কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ভারতের আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, ইয়াস পূর্ণ শক্তি সহকারে আঘাতের সময়ে এর গতিবেগ উঠতে পারে ঘন্টায় ১৪৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
সকাল নয়টায় সর্বশেষ বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মোঃ আবদুর রহমান খান জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বর্তমানে দেশের সমুদ্র বন্দর উপকূল থেকে ৩১০ থেকে ৫২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে অবস্থান করছে। ইয়াসের গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিম বঙ্গের দিকে বজায় রয়েছে।
দেশের উপকূল ভাসছে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সক্রিয় প্রভাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালী হয়ে খুলনা, দক্ষিণ পশ্চিমের সাতক্ষীরা অবধি বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চলে এ মুহূর্তে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এসব উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ভরা পূর্ণিমার সক্রিয় প্রভাব থাকায় প্রবল জোয়ারে ভাসছে বিস্তীর্ণ উপকূলভাগ।
আগের ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময়ে জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি হু হু করে প্রবেশ করছে। এতে করে ফল ফসলের জমি, বসতঘর প্লাবিত হয়েছে অনেক জায়গায়। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। তাদের দুর্ভোগ সীমাহীন।
ইয়াসের সক্রিয় প্রভাবে সকাল থেকে উপকূল ছাড়াও দেশের অনেক জায়গায় আকাশ ঘনকালো মেঘে ছেয়ে গেছে। থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সাথে ভরা পূর্ণিমা ও চন্দ্র গ্রহণের সক্রিয় প্রভাব থাকায় দেশের উপকূল অঞ্চলে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাছাড়া স্বাভাবিক সামুদ্রিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় প্রবল জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। করোনাকালে চরম দুঃখ-কষ্টে পড়েছে লাখো উপকূলবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।