মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও কর্মী মারা গেলেও তার বেতন বন্ধ হবে না। মাসে মাসে বেতন পাবে তার পরিবার। এমনই ঘোষণা করেছে ভারতের টাটা স্টিল। মহামারী আবহে সংস্থার কর্মী ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করল তারা।
কয়েকদিন আগেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল বোরোসিল। জানিয়ে দিয়েছিল, সংস্থার যেসব কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন, তাদের পরিবার পরবর্তী ২ বছর বেতন পাবেন। এবার সেই পথে হাঁটল টাটা স্টিলও। তবে ২ বছর নয়, যতদিন না ওই কর্মীর বয়স ৬০ বছর হয়, ততদিন এই সুবিধা পাবে তার পরিবার। এই সংস্থায় কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। নিঃসন্দেহে এমন পদক্ষেপ অভিনব। করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও কর্মী মারা গেলেও ওই বয়স পর্যন্ত বেতন দেয়া হবে।
এখানেই শেষ নয়। কর্মীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা ও আবাসন সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই দেয়া হবে তার পরিবারকে। এরই সঙ্গে টাটা স্টিলের যে সব কর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে ‘ফ্রন্টলাইন’ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন, তাদের কারও মৃত্যু হলে সেই কর্মীর সন্তানদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব দায়িত্বও নেবে সংস্থা। নিঃসন্দেহে এমন ঘোষণায় প্রবল স্বস্তিতে সংস্থার কর্মীরা।
গত বছরের মার্চে মহামারীর মোকাবিলায় লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। সেই সময় থেকেই বহু সংস্থাই কর্মী সঙ্কোচনের পথে হেঁটেছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সেই পরিস্থিতি অব্যাহত। কেবল এপ্রিল মাসেই ৭৯ লাখ ভারতীয় চাকরি হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় অনেককেই প্রবল আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে। এমনই এক সময়ে টাটা স্টিলের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন সংস্থার কর্মীরা। সূত্র: নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।