মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ভারত। সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ছে দেশটিতে। করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের নাম এসেছে আগেই। এবার দেশটি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া দেশের কাতারে ঢুকে পড়ল। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় দেশ ভারত যেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এ ছাড়া শনিবার রাত থেকে রোববার রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৪৫৪ জন।
গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৪৫৪ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ জনে। এর আগে রোববার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৭৪১ জন রোগী মারা গিয়েছিলেন। অর্থাৎ সোমবার এক লাফে প্রাণহানি বেড়েছে সাত শতাধিক। একই সময়ে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৩১৫ জন। এর ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৭ জন। সংক্রমণ শনাক্তে ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৮৭ জন। একটি দেশে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।
সংক্রমণ শনাক্তে বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান। আর ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৩ জনের করোনা শনাক্ত করে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন। সেই হিসাবে, করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর তালিকায় ভারতের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের অবস্থান। আর ২ লাখ ২১ হাজার ৬৪৭ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ তালিকায় ভারতের পরে রয়েছে মেক্সিকো।
বিশ্বে বর্তমানে করোনার সংক্রমণের কেন্দ্র ভারত। ভারতে সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অবস্থা এমন যে, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের হাহাকার পড়ে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোয়। করোনার পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের’ বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ভারতকে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সংক্রমণের জেরে বাড়ছে মৃত্যুও। এ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারি ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারগুলোকে চিঠি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এ সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ভুগছে মহারাষ্ট্র। সূত্র : টিওআই, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।