পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘যশ’, ‘ইয়াশ’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন- ওমানী ভাষায় এর অর্থ ‘হতাশা’ ‘দুঃখ-বিষাদ’। নামের মানেটা যথার্থ! কেননা ওই নামের ঘূর্ণিঝড়টি আসার অনেক আগেই বেশ ভোগাচ্ছে। তার আগাম প্রভাবে গরমের যাতনা অসহ্য। সারাদেশ ঝলসে দিচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরসমূহে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা বজায় রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ, আন্তর্জাতিক আবহাওয়া স্যাটেলাইট সংস্থা ও বিদেশি সংবাদমাধ্যম বলছে, নিম্নচাপ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এ রূপ নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলের পর অথবা বুধবার দিনের মধ্যেই যদি আঘাত হানে তাহলে পূর্ণিমার সক্রিয় প্রভাবে ‘যশ’ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তখন উপকূলে জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে। ‘যশ’ ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার শঙ্কা বেশিই। ভারতের উপকূল ও সুন্দরবন হয়ে খুলনায়ও আছড়ে পড়তে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে ‘যশ’ সৃষ্টি হওয়ার পর এর সম্ভাব্য গতি-প্রকৃতির উপর।
এদিকে গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় পারদ উঠে গেছে দিনের বেলায় ৩৭.৮, এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২৯.৭ ডিগ্রি সে.। দেশের অধিকাংশ স্থানে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ এবং রাতের পারদও ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সে.। প্রচণ্ড গরমে-ঘামে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অবশ্য আজ সোমবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গেল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধুই টেকনাফে ২৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া সারাদেশে জ্যৈষ্ঠের ঠা ঠা রোদের তেজে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হয়। আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি.র মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।