মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রিন্সেস ডায়ানার সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল গ্যালারির চেয়ারম্যান লর্ড হল। তিনি বিবিসির সাবেক মহাপরিচালক ছিলেন। গতকাল শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ডায়ানার সাক্ষাৎকার নিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক লর্ড ডাইসন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার সাক্ষাৎকার নিতে প্রযোজনা নীতিমালা ‘ভয়াবহ লঙ্ঘন’ করেন বিবিসির সাংবাদিক মার্টিন বশির। ওই সময় ‘প্রতারণামূলক আচরণের’ পাশাপাশি ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্টও ব্যবহার করেন তিনি। ঘটনাটির সময় বিবিসির ডিরেক্টর অফ নিউজ ছিলেন লর্ড হল।
লর্ড হল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ন্যাশনাল গ্যালারির চেয়ারম্যান পদে থাকলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘২৫ বছর আগের ঘটনাটির জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আমি মনে করি, নেতৃত্ব মানেই দায়িত্ব কাঁধে নেয়া।’
১৯৯৫ সালে বিবিসির এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে হাজির হন ডায়ানা। সাক্ষাৎকারটি নেন মার্টিন বশির। তবে সাক্ষাৎকারটি নেয়ার ক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতার বিষয়ে বিবিসির যে মানদণ্ড রয়েছে, তা মানা হয়নি।
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ড্যাভি বলেন, ডায়ানার ওই সাক্ষাৎকার ঘিরে লর্ড ডাইসনের তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তা পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে বিবিসি।
গত বছরের নভেম্বরে ডায়ানার বহুল আলোচিত ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে তদন্ত করতে ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত সর্বজ্যেষ্ঠ বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক লর্ড ডাইসনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিবিসি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির মহাপরিচালক ড্যাভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘লর্ড ডাইসনকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। ১৯৯৫ সালের সাক্ষাৎকার ঘিরে তার তদন্ত প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত। বিবিসি তার প্রতিবেদনের পুরোটাই গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়ানা বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। তবে এটি পরিষ্কার, সাক্ষাৎকারটি নিতে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বিবিসির মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল না। এ জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। লর্ড ডাইসন আমাদের ব্যর্থতাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন।’
ডায়ানার সাক্ষাৎকার সাংবাদিক বশিরকে রীতিমতো জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক দিন আগে চলতি মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিবিসি থেকে পদত্যাগ করেন বশির।
বিশ্বজুড়ে ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়ানার সেই সাক্ষাৎকার দেখেছিল। সেখানে নিজের জীবন ও বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ডায়ানা।
সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে ডায়ানা এমন অনেক বিষয় জানান, যা নিয়ে এর আগে কখনো মুখ খোলেননি তিনি। ডাচেস অফ কর্নওয়েল ক্যামিলাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছিলেন, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার বিয়েতে দুজন নয়, তিন ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়ানা। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।