Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে কুকুর থেকে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারত বর্তমানে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনায় হাহাকার পড়ে গেছে। এমন আবহে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এবার আরও এক নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলল।
করোনার নতুন ভাইরাসটি কুকুর থেকে ছড়াচ্ছে। মালয়েশিয়ায় এমনই এক নতুন করোনাভাইরাসের হদিস মিলেছে। এরপরই চারদিকে শোরগোল পড়েছে। তবে, এই ভাইরাস মানবদেহে আদৌ ক্ষতিকারক কিনা, তার এখনও কোনও প্রমাণ পাননি বিজ্ঞানীরা।

জানা যাচ্ছে, অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার পর ডা. গ্রেগরি গ্রে তার ল্যাবে লিশান শিউ নামে এক স্নাতক পড়ুয়াকে শক্তিশালী পরীক্ষা করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। যাতে সব ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যায়। এমনকী, যে ভাইরাসগুলো অজানা। এরপর শিউ এমন একটি টেস্ট তৈরি করেন, যেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি নতুন করোনাভাইরাসের হদিস পান।
নতুন এই ভাইরাসটি অষ্টম করোনাভাইরাস হিসেবে পরিচিত। মালয়েশিয়ার এক হাসপাতালের রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রোগীদের লক্ষণ খানিকটা নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের মতো। ৩০১টি নমুনার মধ্যে আটটিতে দেখা গেছে, রোগীরা কুকুরের ভাইরাসে আক্রান্ত।
এদিকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সুস্পষ্ট করে জানিয়েছে অতিমারীর নিয়ম মেনে তৃতীয় ঢেউ একপ্রকার অনিবার্যই। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছয় থেকে আট মাস পরে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। অন্তত অক্টোবরের আগে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা ক্ষীণ।

তৃতীয় দফার সংক্রমণের এই সঙ্কেত যদি ভয়ের কারণ হয়, তা হলে ভরসাও রয়েছে বলে আশ্বস্ত করছেন চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের সব চেয়ে বড় ভরসার কারণ, দুই ঢেউয়ের মাঝের এই ছয় থেকে আট মাসের সময়টা। এই সময়ে টিকাকরণ কর্মসূচি অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, এই ফাঁকে কোভিড-যুদ্ধের পরিকাঠামো আরও পোক্ত করে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও ঢিলে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা সতর্ক করছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে জনতার একাংশের বেয়াক্কেলেপনার চরম খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে। এ বার তেমনটা ঘটলে, কোভিড-যুদ্ধ কঠিনতর হয়ে উঠবে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে বড়রা উদাসীন হলে, শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকিও একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ইকনোমিক টাইমস।



 

Show all comments
  • নুর নাহার আক্তার নিহার ২৩ মে, ২০২১, ১:১৯ এএম says : 0
    কুকুর থেকে সাবধান। খবুই ডসটার্বিং ভিসয়টি।
    Total Reply(0) Reply
  • তারেক আজিজ ২৩ মে, ২০২১, ১:১৯ এএম says : 0
    কুকুর মারার অভিযান দিলে সব শেষ হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ