Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাড়ি ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

গাজায় পৌঁছেছে জাতিসংঘের ত্রাণের বহর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ২৩ মে, ২০২১

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরাইলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে। চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরাইলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে। ১১ দিন ধরে সংঘাত চলার পর ২০ মার্চ রাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। গত ১০ মার্চ রাত থেকে অধিকৃত এই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৫ শিশু রয়েছে। অপরদিকে ইসরাইলে হামাসের ছোড়া রকেটে ১২ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর গাজা ভূখন্ডে প্রবেশের জন্য ইসরাইল কেরেম শ্যালন ক্রসিং খুলে দেয়। এরপরই জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি সহায়তা সংস্থার দেওয়া জরুরি ওষুধ, খাবার ও জ্বালানি নিয়ে ভূখন্ডটিতে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি ট্রাক। গাজায় ১১ দিনের সংঘাতে ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর বেশিরভাগই গাজার বাসিন্দা। আহতদের সরিয়ে নিতে করিডোর স্থাপনের আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার প্রায় এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। প্রায় আট লাখ মানুষ পানি সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইসরাইলি অবরোধের কারণে আগে থেকেই দারিদ্র পীড়িত গাজার অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণে লাখ লাখ ডলারের প্রয়োজন পড়বে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘের ত্রাণের বহর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ