Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বড় আঘাতের শঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে ঘনঘটা তৈরি হচ্ছে সেটি শক্তিশালী হতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ‘যশ’ নামকরণ হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৬ মে বুধবার নাগাদ ভারত-বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ, আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ও বিদেশি সংবাদসংস্থা সূত্রে এই আশঙ্কার কথা জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ‘আসন্ন’ ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম পূর্ণ-প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে বেখবর ও নির্লিপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভারতে আগেভাগেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের (‘যশ’) আশঙ্কা ব্যক্ত হওয়ার পর অবশেষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ‘ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা’ প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়, উত্তর আন্দামান সাগর ও এর সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরবর্তীতে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। অবশ্য সমুদ্র বন্দরসমূহে আপাতত কোন সতর্ক সঙ্কেত নেই। গতকাল সন্ধ্যায় সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর ও এর সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।

এদিকে সমুদ্রে লঘুচাপ-নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়ের ঘনঘটাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় সর্বত্র দিনে-রাতে ভ্যাপসা গরম আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে গরমের দাপট আরও তীব্র। বাতাসে জলীয়বাষ্পের মাত্রা বেশি থাকায় তাপদাহের সাথে ঘামে-নেয়ে দুর্বল ও কাহিল হয়ে যাচ্ছে মানুষ। প্রখর রোদে রাস্তায় পিচ গলছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ বেড়ে খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গেছে। আগের দিন যশোরে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সে.। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রাও বেড়ে দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩৭ এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সে.। অধিকাংশ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ৩৬ এবং রাতে ২৭ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে রয়েছে। গরমের যাতনায় দুর্বিষহ জীবনযাত্রা।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রাজশাহীতে ৪২ মিলিমিটার।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি এবং এ সম্পর্কিত পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারে উন্নীত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ