পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের কাছ থেকে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। সমুদয় টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু ৭০ লাখ সরবরাহ করার পর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে ১৫ লাখেরও বেশি লোক দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারছে না; যা সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের কাছে বাংলাদেশ টিকা উপহার হিসেবে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে ফোন করেছিলাম। ভারত কখনোই বলেনি টিকা দেবে না, তবে তারা দিতে পারছে না। আমি এর আগে চিঠিও দিয়েছি। আমি ওইদিন বললাম, আমরা ঝামেলায় পড়েছি। আমাদের ১৫ লাখ লোক দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য আটকে গেছে। টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলে প্রয়োজন হলে আমাদের উপহার হিসেবে দিন। কারণ, এর আগে আপনারা আমাদের উপহার দিয়েছেন। টিকা দিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জানিয়ে মোমেন বলেন, জয়শঙ্কর বলেন, আমি আপনাদের অবস্থা জানি এবং আপনিও আমাদের অবস্থা জানেন। দিনে চার হাজারের বেশি লোক মারা যাচ্ছে এবং চার লাখের বেশি লোক সংক্রমিত হচ্ছে। সেরামের উৎপাদন করার ক্ষমতা ছিল ২০ কোটি, কিন্তু ১০ কোটিও উৎপাদন করতে পারছে না। আমাদের অবস্থা শোচনীয়। ড. মোমেন বলেন, আমি বললাম আমার অবস্থা আরও খারাপ। কারণ, ১৫ লাখ লোক টিকা না পেলে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। যেকোনোভাবে টিকা সরবরাহ করার কথা বলেছি। বলেছি প্রয়োজনে উপহার দিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জয়শঙ্কর আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন অন্য জায়গা থেকে আমরা টিকা আনার চেষ্টা করছি কিনা। আমি বললাম, যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি। কোভ্যাক্সকে আপনারা দিচ্ছেন না বলে সেখান থেকে পাচ্ছি না। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভারতের প্রভাব রয়েছে এবং আমি জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছি যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে, যাতে তারা আমাদের টিকা দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।