মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলি সরকার ও সেনাবাহিনী হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ইসরাইলি বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট যোনাতান শাপিরা বলে বর্ণনা করেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে অব্যাহতভাবে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। অপরপক্ষে পাল্টা জবাবে ইসরাইল অভিমুখে সহস্রাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হামাস। গত সাত দিনে সর্বোচ্চ রকেট হামলার মুখোমুখি হয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত গাজা থেকে ৩ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে ইসরাইলে।
২০০৩ সালে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগকারী ক্যাপ্টেন শাপিরা আনাদোলু নিউজ এজেন্সির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরে কিভাবে বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের অংশ’। তিনি বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় বুঝতে পেরেছিলাম যে, ইসরাইলি বিমান বাহিনী এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কিভাবে যুদ্ধাপরাধ করছে। তারা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন বিপন্ন করছে। যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি শুধু পদত্যাগই করব না, এমন অন্যান্য পাইলটদের সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা এই অপরাধে প্রকাশ্যে অংশ নিতে অস্বীকার করবে।’
শাপিরা বলেন, ‘ইসরাইলে শিশু হিসাবে আপনি খুব শক্তিশালী জায়নিবাদী সামরিকবাদী শিক্ষায় উত্থিত হচ্ছেন। আপনি ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না, আপনি ১৯৪৮ সালের নাকবা সম্পর্কে জানেন না, চলমান নিপীড়ন সম্পর্কে আপনি জানেন না।’ ইসরাইলি সেনাবাহিনী ত্যাগের পর থেকেই শাপিরা একটি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা অন্যান্য সামরিক সদস্যকে ফিলিস্তিনিদের আক্রমণ করার আদেশ অমান্য করতে উৎসাহিত করে। এই প্রচারণার ফলে ২০০৩ সাল থেকে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর ২৭ পাইলটকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে, ইসরাইলি আর্মি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেল উরি গর্ডিন বলেছেন যে, তারা বর্তমানে একটি নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। রোববার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় গর্ডিন বলেন যে, গত সোমবার চলমান সংঘর্ষের শুরু থেকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি দলগুলি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই চিত্রটি ২০১৯ (৫৭০) এবং ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধে (১৯ দিনের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ রকেট) ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র, ওফির গেন্ডেলম্যান এর আগে টুইটারে বলেছিলেন যে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্তমান ইসরাইলি সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে ২ হাজার ৯০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে, যদিও তার মধ্যে প্রায় ৪৫০টি গাজা ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরাইলের সেনাবাহিনী রোববার স্বীকার করেছে, এবারের সংঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে। গাজা উপত্যকা থেকে যে হারে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলা হচ্ছে, তা দেখে রীতিমতো বিস্মিত ইহুদিবাদী দখলদার দেশটি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। গত এক সপ্তাহে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানগুলি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার হামলা চালিয়েছে। যার ফলে ৫৫ শিশু এবং ৩৩ জন নারীসহ কমপক্ষে দুইশতাধিক ফিলিস্তিনি শহীদ এবং এক হাজার ২২৩ জন আহত হয়েছেন। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।