মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলি বিমান হামলায় তার বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চোখের সামনে বোমাবর্ষণে আত্মীয় ও প্রতিবেশীর মৃত্যু দেখছে দশ বছর বয়সী মেয়েটি। এই ‘যুদ্ধ’ থামানোর ক্ষমতা তার নেই। ধ্বংসস্তূপের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অসহায় কান্নায় ভেঙে পড়ে গাজার নাদিন-আবদেল-তাইফ বলছে, ‘কী করব আমি? আমার কী ক্ষমতা আছে? আমার বয়স মাত্র ১০ বছরৃ।’
নাদিনের ওই কান্নার ভিডিও সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল হয়েছে। নজর কাড়ছে সারা বিশ্বের। রোববার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই শতাধিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৫৩ জনই শিশু। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, গাজায় সর্বনিম্ন ৬ বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেই চলেছে ইসরাইল। ইসরাইলেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার মধ্যে একজনের বয়স ৬ বছর। ভিডিও-তে সংবাদমাধ্যম ‘মিডিল ইস্ট আই’-কে ছোট্ট নাদিন কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘কী করব আমি, বলুন? ওই ধ্বংসস্তূপ সরাবো? আমার সত্যিই ভয় করছে। আমার লোকেদের জন্য আমি সব কিছু করতে পারি। কিন্তু কী করা উচিত এখন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই যাতে লোককে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু কিছুই করে উঠতে পারছি না।’ তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমি যখনই এসব দেখি, আমার কান্না পায়। শুধু ভাবি, কেন আমাদের উপরই হামলা হচ্ছে? বাড়ির লোকেরা বলে, আমরা মুসলিম বলে ওরা আমাদের ঘৃণা করে। এখানে এত শিশু থাকে। কেন শিশুদের উপর বোমাবর্ষণ করছে ওরা?’
ভিডিওতে নাদিনের কান্না আর অসহায়ত্ব একদিনেই দেখেছে ৪০ লাখের বেশি মানুষ। পাষাণ হৃদয়ও গলে যাবে সেই শিশুর আকুতি শুনে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করেছে। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘শিশুটির আর্তনাদ - আমি জানি না এখন আমি কি করব।’ সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।