Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার

দুর্নীতি করলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে এখন থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহিতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা যাবে। এমন বিধান রেখে ব্যাংক- কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২১-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা আগের মাথাপিছু আয়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত ব্যাংক কোম্পানিসমূহের কার্যক্রম ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর আওতায় পরিচালিত হয়। ব্যাংকসমূহের মোট সংখ্যা, মোট সম্পদ, আমানত, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওই আইন সবকিছু কাভার করছিল না। সেজন্য ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা, তদারকি, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই আইনটি করা প্রয়োজন ছিল। সেই আলোকে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো জিনিস ছিল, তা হলোÑ ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহিতার সংজ্ঞা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই জিনিসটি আগের আইনে অতটা ক্লিয়ার ছিল না। যেহেতু ওটি ১৯৯১ সালের কন্টেস্টে আইনটি করা হয়েছিল। নতুন আইনে সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংক কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানির জন্য সংকটাপন্ন অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রহণের বিষয়টি আছে। ব্যাংক কোম্পানি পুনর্গঠন ও একত্রীকরণের বিধানও নতুন আইনে আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, একটা পেনাল প্রভিশনও রাখা হয়েছে। যদি ব্যাংকের পরিচালকরা বা যেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাকে বড় জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রিমিন্যাল প্রসিডিংও তার বিরুদ্ধে চলছে। এটা আজকের মিটিংয়ে বিশেষভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। কারো এক কোটি টাকা জরিমানা হলো, তিনি জরিমানা দিয়ে বেঁচে যেতে পারেন, তিনি যদি ১০ বা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন। সেজন্য পেনাল কোডের আইনও তার জন্য প্রযোজ্য হবে। তার যে জরিমানা হলো সেটা ক্রিমিনাল প্রসিডিংয়ের জন্য কোনো বাধা হবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের চেয়ে ১৬৩ ডলার বেড়েছে। এ বছর মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলার, যা গত অর্থবছর (২০১৯-২০) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ব্রিফিংয়ে একটা জিনিস পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েনে, সেটা আমাদের ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জড়িত। আমাদের ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের রেয পরিসংখ্যান ছিল সেখানে (মাথাপিছু আয়) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিপি ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি, এটা হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি। যদিও স্ট্যাটিসটিকস এখনও ফাইনাল হয়নি। অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জিডিপিও বেড়েছে, মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা ধরে)। এটা আমাদের অর্জন। এক্সিডেন্টালি আজকে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর ছিল। সেজন্য ক্যাবিনেট থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে তার কার্যক্রমের জন্য। ওনার এই সুন্দর একটি দিনে মাথাপিছু আয় বাড়ার বিষয়টি চমৎকার একটি বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন সবাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাথাপিছু আয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ