বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার সৈকতে ঈদের পরে স্বাভাবিক অবস্থায় লাখো মানুষের পদচারণায় থাকত মুখরিত। সেই সমুদ্র সৈকতে বর্তমানে বিরাজ করছে নীরবতা। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের হোটেল মোটেলসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ঈদের ছুটিতেও বলবত এই রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এতে হোটেল মোটেল গেস্টহাউজ গুলো রয়েছে বন্ধ। এই ঈদের ছুটিতেও কক্সবাজার সৈকত রয়েছে মানুষ শূন্য। নেই পর্যটকদের কোলাহল আর পদচারণা।
তবে ঈদের পরের দিন সৈকতের নীরবতা ভেঙেছে স্থানীয় মানুষ। শত শত নারী-পুরুষ লকডাউনের অবসাদ দূর করতে ভীড় করছেন সৈকতে। ঈদের দিন ও শনিবার ঈদের পরের দিন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরতে এবং ঈদ আনন্দ উদযাপন করত দেখা গেছে তাদের।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন কেন্দ্র ও পর্যটন এলাকার সব শত শত আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িত অর্ধ-লক্ষাধিক পরিবারে বিষাদে পরিণত হয়েছে এবারের ঈদের আনন্দ।
প্রতিবছর ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শারদীয় দূর্গাপুজা ও ইংরেজি নববর্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নামে লক্ষ লক্ষ পর্যটকের ঢল। তবে করোনার কারণে গতবছরও কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের অবস্থা ছিল এবারের মতোই বন্ধ।
গত বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার পর গত ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এসময়ে একদিনেই কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটক সমাগম ঘটে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার গত ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো আবারো বন্ধ ঘোষণা করলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, ট্যুর অপারেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েন।
তাছাড়া দীর্ঘদিন পর্যটন সেক্টর বন্ধ থাকায় এসব পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য পর্যটন কর্মীরা পেশা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। এতে পর্যটন দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অভাব দেখ বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন-করোনা লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে গত দেড় মাস ধরে হোটেল-মোটেল সমূহ বন্ধ থাকায় মালিকপক্ষ ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছে। যে কারণে বেশিরভাগ কর্মচারীকেই ছুটি দেয়া হয়েছে। এতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে হাজার কর্মচারী।
এদিকে ঈদের দিন থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বেশ কিছু পয়েন্টে স্বল্প সংখ্যক স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভীড় জমাতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের মাঝে ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে সৈকতে ছুটে এসেছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, কড়াকড়ি না করে সৈকতে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রতিটি পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।