মুস্তাফিজের সঙ্গে অবশ্য তার স্ত্রীও আছে। আইপিএলে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার, দেশে ফিরে দুজন একসঙ্গেই আছেন কোয়ারেন্টিনে। সাকিব একদমই একা।
আইপিএল খেলতে ভারতে গিয়েও সপ্তাহখানেক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছিল সাকিবকে। সে সময় এক সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ঘরবন্দি জীবনের অসহায়ত্বের যন্ত্রণায় তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, কোন পর্যায়ে গেলে মানুষ আত্মহত্যা করে। এবার তার কোয়ারেন্টিন আরও লম্বা, মানসিক অবস্থাও তাই আরও করুণ হওয়ার কথা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য সাকিব নিজেকে নয়, তুলে ধরলেন এই সময়কে। সবাইকে অনুরোধ করলেন সতর্ক থেকে উৎসব করতে।
“এই ঈদে, আসুন আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সুরক্ষার জন্য ঘরে থেকে উদযাপন করি। সবার জীবনে বয়ে আনুক আশীর্বাদ ও আনন্দ। সবাইকে ঈদ মোবারক।”
দেশে থাকলে সাধারণত সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ করেন মুস্তাফিজ। গ্রামের মেঠো পথ, অবারিত প্রান্তর, দিগন্তজোড়া সবুজ তাকে সবসময়ই টানে প্রবলভাবে। স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও তাই চার দেয়ালে আটকা ঈদে তার দম বন্ধ হয়ে আসার কথা।
তবু বাস্তবতার কাছে অসহায় সময় কাটছে তার কোয়ারেন্টিন শেষের অপেক্ষায়। সাকিবের মতো তিনিও ঈদ শুভেচ্ছায় সবাইকে শোনালেন সাবধানতার কথা।
“ঈদ মোবারক। সবার ঈদ খুশিতে ভরে থাকুক। নিরাপদে থাকুন, মাস্ক পরুন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।”
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাকিব-মুস্তাফিজের দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার কথা আগামী বৃহস্পতিবার। তবে কয়েক দফায় কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনের সময় দিন দুয়েক কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিসিবি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে। এখনও যদিও নিশ্চিত নয়, তবে মঙ্গলবার থেকেই দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন দুজনই।