মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারি করেনায় ভারতের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দেশটিতে ক্ষমতাসীন কট্টরপন্থী বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিখ্যাত পত্রিকা ল্যানসেট। ল্যানসেট জানায়, ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোদি সরকারের নিজের তৈরি করা। চাইলে এই পরিস্থিতি এড়াতেও পারতো দেশটি। এটাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলেও মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি। ঠিক যেন, ইচ্ছা করেই মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে মোদি সরকার
ভারতের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ল্যানসেট তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, ভারতে ভয়ঙ্কর করোনা-পরিস্থিতির মধ্যেও সংক্রমণ ঠেকানোর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার থেকে সমালোচনামূলক টুইট সরাতে বেশি আগ্রহ ছিল মোদি সরকারের। আর তাই দেশের এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের ভূমিকা ও দেশবাসীর প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাব ‘ক্ষমার অযোগ্য’।
মোদি সরকারের সরাসারি সমালোচনা করে পত্রিকাটি লিখেছে, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার ধর্মীয় উৎসব পালন এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের মতো অতি সংক্রামক অনুষ্ঠান হতে দিয়েছে। এই ধরনের অতি সংক্রামক বা সুপার স্প্রেডার অনুষ্ঠানই বিপদ ডেকে এনেছে ভারতে।
সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়া এবং খোলা মনে পরামর্শ নিতে না চাওয়ার সরকারি মনোভাবই ভারতের সংকট বাড়িয়েছে, যা কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না বলেও লিখেছে পত্রিকাটি।
গত চার দিন ধরেই ভারতের দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখের ওপরে রয়েছে। ল্যানসেট বলছে, করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকার তার প্রথম দফার সাফল্যকে তছনছ করে দিয়েছে। এমনকি করোনা মোকাবিলার জন্য প্রথম পর্যায়ে যে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিল, এপ্রিল মাসের আগে বেশ কয়েক মাস যাবৎ তারা কোনো বৈঠকই করেনি। ফলে ভারতের করোনা পরিস্থিতিকে মোদি সরকারের নিজের তৈরি করা সংকট উল্লেখ করে ল্যানসেট বলছে, চাইলে এই সংকট এড়ানো যেত। কিন্তু মোদি সরকারের ভুল স্বীকার করতে না চাওয়ার মনোভাবই সমস্যা এতোটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।