বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সোহেল রানা লেনিন (৩৮) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১০টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বাজারে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়া মাঠে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসী।
সোহেল রানা লেনিন চাপাইগাছি গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এবং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খানের নিকটতম আত্মীয়। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে হোগলা বাজারের একটি মুদি দোকানে বসে ছিলেন লেনিন, বাকু ও করিম। রাত পৌনে ১০টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেলে চারজন দোকানের সামনে আসেন। এসময় লেনিন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপ মারে।
এতে তার একটি আঙ্গুল কেটে যায়, তবে লেনিন এক হামলাকারীকে পেছন থেকে চেপে ধরেন। এসময় তারা লেলিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলি লেনিনের হাটুর নিচে লাগে। পরে আহত লেলিনকে স্বজনরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোহেল রানা লেনিন বলেন, করিমের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ কয়েটি মোটরসাইকেল যোগে হান্নান, মেহেদী, ফিরোজ, আতিয়ারসহ ৪-৫ জন সেখানে এসে তার ওপর হামলা চালায়। হান্নানের নেতৃত্বে প্রথমে মেহেদী এবং পরে মিজান গুলি করে। ওরা ছয় রাউন্ড গুলি করে। ফারুক আজম হান্নান জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর মেহেদী হান্নানের সমর্থক আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশার ছেলে। তবে অভিযুক্ত অন্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মেহেদী এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খান বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার নিকট আত্মীয় ও আ.লীগ কর্মী লেনিনকে প্রথমে কোপায় এবং পরে দুই পায়ে গুলি মেরে গুরুতর আহত করে।
সূত্রের খবর আরো জানা যায়, আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, লেনিন নামের একজন হাতে কোপ ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালাতে পারে। তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।