পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারেক রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করাটাকে শেখ হাসিনা কিংবা তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি চাঞ্চল্যকর টেলিফোন রেকর্ডের ঘটনা উন্মোচিত হওয়ার পর যখন ফুঁসছে মানুষ, তখন জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে নির্লজ্জ নিরেট মিথ্যাচারের বেসাতিতে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জয়। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে বহু বছরের পুরানো একটি ভূয়া হাস্যকর ভিডিও আপলোড দিয়ে দাবি করেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উৎকোচ চাওয়ার কারণে নাকি ২০০৫ সালে ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছিল! এই আজগুবী উদ্ভট ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ জেনেটিক্যালি মিথ্যাবাদী স্বৈরাশাসক। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, টাটা গ্রুপের অবাস্তব বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন ড. আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বাধীন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা লাগাতার কর্মসূচিতে রাজপথে উত্তাপ ছড়ায়। তাদের আন্দোলনের সাথে সেই সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সরাসরি সংযুক্ত ছিল এবং তারা যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করতো। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে টাটা গ্রুপের বিনিয়োগ প্রস্তাবকে আত্মঘাতি ও আত্ম মর্যাদাহীন দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তখন আওয়ামী লীগের সকল এমপি টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন দেন।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দখল করলে সেই সরকারের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে জাতীয় কমিটি স্মারকলিপি দেয়। রিজভী বলেন, টাটা গ্রুপের নাম মাত্র দামে গ্যাস লাভের অবাস্তব প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তা প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি সেই সময়ের সকল দেশি এবং বিদেশি মিডিয়াতেই ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বিএনপি সরকারের পর ওয়ান ইলেভেনের সরকারের কাছে অবাস্তব চাহিদা পুরণের জন্য এক বছর যাবত ধ্বর্না দিতে থাকে টাটা কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় টাটা।
তিনি বলেন, টাটা নিজেই স্বীকার করছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে আর সজিব ওয়াজেদ জয় আবিষ্কার করেছে যে, উৎকোচ চাওয়ার কারণে নাকি টাটা বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিএনপির অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দূর্নীতি লুটপাট, সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হাহাকার আর আহাজারী থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাই মূল লক্ষ্য। অসত্য ও কাল্পনিক গল্প বানিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে বিভ্রান্ত করা যাবে না, জনগণ এখন অনেক সচেতন। এই দিন চিরদিন থাকবে না। নিশিরাতের সরকারকে রক্ষার সব পথ দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে। গণবিরোধী সরকারের পরাজয় এখন অত্যাসন্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।