বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ফাতেমা আক্তার মুন্নি (১৯) নামের এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. জিহাদকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনায় নিহতের মা খায়েরুন নেছা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ফাতেমা আক্তার মুন্নি নোয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মধুসুদনপুর এলাকার আহসান উল্যার মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ ছয়ানী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নোটারী পাবলিক নোয়াখালীর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় জিহাদ ও মুন্নি। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের সাথে থাকতো মুন্নি। এর কিছুদিন পর থেকে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে মুন্নিকে চাপ দিতে থাকে জিহাদ। এনিয়ে মুন্নিকে বেশ কয়েকবার শারীরিক নির্যাতন করে সে। এর সূত্র ধরে বুধবার দিবাগত রাতের কোন একসময় নিজেদের শয়ন কক্ষে মুন্নিকে গলা টিপে হত্যা করে জিহাদ।
নিহতের মা খায়েরুন নেছা বলেন, সেহরির সময় জিহাদের মা জোসনা বেগম ভাত খাওয়ার জন্য মুন্নিকে ডাকতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিষয়টি আমাদের মোবাইলে জানান। খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়ীতে গিয়ে মুন্নির লাশ খাটের ওপর দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবগত করি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে জিহাদকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মুন্নিকে গলাটিপে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। শুক্রবার সকালে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।