দেশের ৬টি অভয়াশ্রমেই ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। তবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ থাকছে। সরকার গত ১ নভেম্বর থেকে জাটকা আহরণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত উপক‚লের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারে সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞার সাথে সারা দেশেই ইলিশের আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ ছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ১ নভেম্বর থেকে জাটকা আহরণে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। ইলিশ ও জাটকা আহরণে গত দুই দশক ধরে নানা ধরনের বিধি নিষেধের ফলে দেশে ইলিশের উৎপাদন ও আহরণ প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা যথেষ্ট খুশি। গত দুই দিনে বাজারে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের সরবরাহও বেড়েছে। গত অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ৩৫ টনের কাছে পৌঁছেছে। যার ৬৬% বা ৩.৬৩ লাখ টন আহরণ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও উপক‚লীয় নদ-নদী ও সাগর মোহনায়। তবে এবারো অভয়াশ্রমগুলোতে নিষিদ্ধ সময়ে জেলে ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে আইন অমান্যের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাটকা আহরণে বাধা দেয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেও সরকার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে যা কিছু করণীয় তাই করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, গত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে ৮ হাজার ১৫৬টি অভিযান ও প্রায় দেড় হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ কোটি ৯৫ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় দেড়শ’ মেট্রিক টন জাটকা জব্দ এবং প্রায় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় ৭৫৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা দÐাদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ৮৯৩টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।