মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজধানী শহরে, করোনা আক্রান্ত রোগীরা অক্সিজেন সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে হাসপাতালের বিছানায় মারা যাচ্ছেন। ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ সুনামির মতো আঘাত হেনেছে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট, রোগীরা তাদের আতঙ্কিত পরিবারের সামনে মারা যাচ্ছে।
সাধারণত রোগীদেরকে দুটি উৎস থেকে অক্সিজেন দেয়া হয়। প্রথমটি হচ্ছে একটি অক্সিজেন ভর্তি একটি ভারী সিলিন্ডারের মাধ্যমে, যার ওজন প্রায় ৫০ কেজি। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। এটি ঘরের বাতাস থেকেই অক্সিজেন সংগ্রহ করে পাইপের মাধ্যমে রোগীকে দেয়া হয়। দিল্লিতে এগুলো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। চলতি সপ্তাহে সেখানে কনসেন্ট্রেটরের চলমান হার ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকারও বেশি। যা সাধারণ মানুষের আয়ত্বের অনেক বাইরে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌতে একটি হাসপাতালের লবিতে দাঁড়িয়ে এক আঘাতপ্রাপ্ত ও রাগান্বিত এক যুবতীর একটি বেদনাদায়ক ভিডিও রয়েছে। তার বাবার অক্সিজেনের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কম। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটিতে অক্সিজেন শেষ। তার বাবাকে হ্যান্ড-পাম্পের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে যার জন্য তিনি প্রতিদিন ৪০ হাজার রুপি দিচ্ছেন।’
কিন্তু, যে অক্সিজেনের ঘাটতির অভিযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কারণ তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এ জাতীয় কোনও অভাব নেই। মুখ্যমন্ত্রী হলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, যার চৌকস অতীত এবং বিপজ্জনক মানুষ হিসাবে বেশ উপার্জনযোগ্য খ্যাতি রয়েছে। তিনি সম্প্রতি অক্সিজেনের অপ্রাপ্যতার অভিযোগকারীদের সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিয়েছিলেন কারণ তারা গুজব ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে।
উত্তর প্রদেশের আমেথির একটি শহর, ২৬ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি তার অসুস্থ দাদার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের আবেদন করেছিলেন। পরে তার দাদা হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ করে এই বলে যে, তার ‘মিথ্যা টুইট’ সরকারকে কুখ্যাত করেছে।
করোনা মহামারীর এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (উত্তর প্রদেশের সীমান্তবর্তী হিমালয় রাজ্য) জ্যোতিষীদের নির্দেশনা অনুযায়ী লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে কুম্ভমেলা আয়োজিত হতে দিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিরও সমর্থন ছিল। মোদি নিজেও পশ্চিমবঙ্গে জনসভা করেছেন।
ভারতে আরও অনেককিছুই এখন বদলে গিয়েছে। একদিকে চিকিৎসা সরঞ্জামে ঘাটতি, মৃত্যুর মিছিল চলছেই। অন্যদিকে চলছে আলো ঝলমলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দিল্লিও যার একটি ভেন্যু। এর জন্য উৎসর্গীকৃত অ্যাম্বুলেন্স, চাহিদা অনুসারে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা, অক্সিজেন রিজার্ভ। যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজনীতিবিদরা অস্বীকার করলেও, দিল্লির শ্মশানগুলোতে অবিরাম লাশ পোড়ানোর দৃশ্য এড়িয়ে যাওয়া শক্ত; এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের অবিচ্ছিন্ন গন্ধ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।