Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহীন হত্যাকারীদের গ্রেফতার করলো র‌্যাব-৯

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২১, ৫:৩৯ পিএম

র‌্যাবের তথ্য প্রযুক্তির কারিশমায় অবশেষে ধরা পড়লো সিলেট গোলাপগঞ্জ’র স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহীনের হত্যাকারীরা। হত্যাকান্ডের ৪ হোতা এখন বন্দি হয়েছে র‌্যাব-৯ এর হাতে। শনিবার (১ মে) দিবাগত রাত দেড়টার গোলাপগঞ্জ থানার হাজীপুর শুকনা গ্রামে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, গোলাপগঞ্জের কায়স্তগ্রাম কুসুমবাগের জামাল হোসেনের পূত্র সরোয়ার হোসেন (২৪), তৈয়বুর রহমানের পূত্র মাজেদুর রহমান (৩৭), মানিক মিয়ার পূত্র শাকিল আহমেদ (২৬), স্থানীয় ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বরখাস্তকৃত) মাহবুবুর রহমান ফয়ছলের পূত্র ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন গত ২২ মার্চ নিজ এলাকা সিলেটের গোলাপগঞ্জ হাজীপুর ললিপরে গ্রামে খুন হন। খুনের পরদিন (২৩ মার্চ) গোলাপগঞ্জ বাইপাসে সকাল / দুপুরের এক সময় নিহত শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চালু করে হত্যাকারী সদস্যরা। কিন্তু মোবাইল সিম চালুর ৫মিনিটের মাথায় আবারও ফোনটি বন্ধ করে দেয় তারা। সেই সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে র‌্যাব। এর সূত্র ধরে প্রথমে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানিকে (২৭) করা হয় গ্রেপ্তার। গ্রেফতারকৃত সানির মুখ থেকে হত্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উ˜্ঘাটনের পরই, সানির অপর ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতার ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান ফয়ছলের পূত্র। চেয়ারম্যান পূত্র সানি বখাটে ও একজন মাদকসেবী। একই সাথে মাদক ব্যবসার নিজস্ব একটি গ্যাং রয়েছে তার।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে র‌্যাব। রোববার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিফর গ্রামের সড়কে দুর্বৃত্তরা লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের পূত্র যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যায়। নিহত শাহীন ওই রাতে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট শহর থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে রাস্তার গতিরোধ করে তার। এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ড্রাইভার ও পরিবারের সহযোগিতায় দ্রত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন শাহীনকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ