Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসের বেহাল দশা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২১, ১:৪২ পিএম

জোট করেও লাভ হয়নি। বরং উল্টো ভরাডুবি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি আসনে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে তাদের।

শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য তৃতীয় স্থানে, অধীর চৌধুরীর দুর্গ বহরমপুরে এগিয়ে বিজেপি। পিছিয়ে কংগ্রেস নেতা ও বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মোহাম্মদ সেলিম।

কংগ্রেসের কোনো প্রার্থী এগিয়ে নেই। আইএসএফেরও কোনো প্রার্থী এগিয়ে নেই। যে আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, সেই তিনি সংখ্যালঘু ভোট টানতে ব্যর্থ।

প্রাথমিকভাবে সিপিএম সাড়ে তিন শতাংশ, কংগ্রেস আড়াই শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে পশ্চিমবঙ্গে আপাতত পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার মুখে বাম-কংগ্রেস।

কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে, প্রায় সব আসনেই পিছিয়ে কংগ্রেস ও বাম। এই দুই সংখ্যালঘু প্রধান জেলায় কংগ্রেস ও বামের ভোটের বড় অংশ চলে গেছে তৃণমূলের কাছে। ফলে তাদের ভরাডুবি হয়েছে।

অধীর তার দুর্গ বাঁচাতে পারেননি। এতদিন ধরে গনি খান চৌধুরীর কল্যাণে মালদহে জিতত কংগ্রেস। সেখানেও তারা হেরেছে।

ভারতে এই দফায় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হলেও প্রায় সবার নজর ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বুথ ফেরত জরিপের মতো রবিবার শুরুর ভোট গণনায়ও ছিল তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত।

তবে ভোটের গণনা বাড়তেই বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াচ্ছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল। অবশ্য তিনি নিজে পিছিয়ে নন্দীগ্রাম আসনে।

এই সময়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯২ আসনের মধ্যে ১৭৭টিতে এগিয়ে তৃণমূল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় জয়ের জন্যও দরকার ১৪৮টি আসন। বিজেপি এগিয়ে আছে ১০৯ আসনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশ্চিম বঙ্গ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ