মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অহংকারকে চূর্ণ করে আপাতত গেরুয়া হিন্দুত্ববাদ থামিয়ে দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার। সে রাজ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।
ভারতে এই দফায় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হলেও প্রায় সবার নজর ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বুথ ফেরত জরিপের মতো রোববার শুরুর ভোট গণনায়ও ছিল তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
তবে ভোটের গণনা বাড়তেই বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াচ্ছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল। অবশ্য তিনি নিজে পিছিয়ে নন্দীগ্রাম আসনে।
রোববার দুপুরে এই সময়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯২ আসনের মধ্যে ২০৬ টিতে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় জয়ের জন্যও দরকার ১৪৮টি আসন। বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৫ আসনে।
আনন্দবাজারের দেওয়া তথ্য মতে, ২০৬টি আসনে এগিয়ে আছে মমতার তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৩ আসনে।
এনডিটিভির প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, তৃণমূল এগিয়ে আছে ২০৪টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৮৫ আসনে।
বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪৮টিতে জয় পেলে নিশ্চিত হবে মসনদ। অবশ্য প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে ২টি আসনে নির্বাচন পিছিয়েছে।
১০ বছর আগে বামদুর্গ ভেঙে এ রাজ্যে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটের উত্থান হয়।
তৃণমূল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে পেয়েছিল ২১১টি আসন। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট পেয়েছিল যথাক্রমে ৪৪ ও ৩২টি আসন। বিজেপি’র ঝুলিতে ছিল মাত্র ৩টি। অন্যান্যরা পেয়েছিল ৪টি আসন।
তবে ছবিটা বদলে যায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, রাজ্যে ১৬৪টি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এক ধাক্কায় ১২১টি আসনে এগিয়ে যায় বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস এগিয়েছিল ৯টি আসনে। বামফ্রন্ট ও অন্যান্যরা একটিও আসন পায়নি।
ভারতে এই দফায় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে। আসাম আর পদুচেরিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। কেরালায় টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বামজোট। আর তামিলনাড়ুতে জয়ের পথে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।